চরম নাটকীয়তার পর ভারতের ভিসা পেলেন বশির
Share on:
এক মাসেরও বেশি সময় আগে ভারতের ভিসা পেতে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে সবাই ভিসা পেলেও, বাদ পড়েন কেবল দলটির পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত স্পিনার শোয়েব বশির।
এ নিয়ে কম নাটকীয়তা হয়নি। প্রথমে তো ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস প্রথম টেস্ট বয়কটের কথাও জানিয়েছিলেন। তবে পরে সেই গুঞ্জন থামিয়ে সেটি আবেগবশত বলেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এসব নাটকীয়তার পর অবশেষে ভারতের ভিসা পেয়েছেন বশির।
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তারা বলছে— বশিরের ভিসা অনুমোদিত হয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষদিকে ভারতে থাকা ইংলিশ স্কোয়াডে তার যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। ভারতের বিমানে ওঠার আগে কিছুদিন আবুধাবিতে অনুশীলন করেছে ইংল্যান্ড দল। সেখানে দলের সঙ্গে ছিলেন ২০ বছর বয়সী অনভিষিক্ত স্পিনার বশিরও। কিন্তু শেষ মুহূর্তেও ভিসা না পাওয়ায় তিনি সেখান থেকে নিজ দেশে ফিরে যান।
বৃহস্পতিবারসন্ধ্যায় ভিসা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। এ নিয়ে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানিয়েছে— ‘আমরা আনন্দিত যে এই পরিস্থিতির সমাধান এসেছে। শোয়েব বশির তার ভিসা পেয়েছে এবং সপ্তাহের শেষদিকে সে ভারতে গিয়ে দলের সঙ্গে যুক্ত হবে।
ভারতীয় দূতাবাসের এক কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি বলছে, লন্ডনে এই ভিসার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ভারতীয় ভিসা অনুমোদনের জন্য বেশকিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে, এক্ষেত্রে সেসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়।
আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও ইংল্যান্ড। ভিসা না পাওয়ায় হায়দরাবাদে হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে যে বশিরের খেলা হচ্ছে না, সেটা আগেই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। বিষয়টি
তাৎক্ষণিক জানতে পেরে ইংলিশদের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস হতাশা প্রকাশ করতে ভোলেননি। তবে ম্যাচ বয়কটের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়তে তিনি নিজের ভুল ভেঙে দেন, ‘বশিরের ভিসা নিয়ে জটিলতায় আমি হতাশ। তবে টেস্ট বয়কটের কোনো সুযোগ নেই। দলনেতা ও অধিনায়ক হিসেবে যখন আপনার কোনো সতীর্থকে ঝামেলায় পড়তে দেখেন, তখন কিছুটা আবেগ তো আসবেই।
স্টোকস আরও বলেন, আবুধাবিতে থাকাকালে যখন আমি প্রথম খবরটি (বশিরের ভিসা না হওয়া) শুনি, আমি তাৎক্ষণিক বলে ফেলেছিলাম যে ওর ভিসা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা বিমানে উঠব না। আমি জানি এটা বলা ও বাস্তবায়ন করা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। তবে সম্ভবত আমি এটা আবেগের বশে বলে ফেলেছি। সিরিজ শুরুর আগমুহূর্তে ভারতের বিমানে না ওঠার কোনো সুযোগ নেই, কিন্তু বশির জানে তার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে।
উল্লেখ্য, নতুন করে সমস্যায় পড়া ইংলিশ ক্রিকেটার বশিরের জন্ম হয়েছিল ইংল্যান্ডের সারেতে। ফলে এই অফ স্পিনার ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। কিন্তু পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হওয়ায় ভারতের ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে।
যদিও সমস্যাটা নতুন কিছু নয়। অথচ দ্রুত ভিসা পেতে গত ১১ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতা থাকায়, ভিসা জটিলতায় পড়ার এরকম ঘটনা নতুন নয়। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজাও গত বছর বশিরের মতো সমস্যায় পড়েছিলেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে জন্ম নেওয়া খাজা সতীর্থদের সঙ্গে ভারতে পা রাখতে পারেননি; যদিও খাজা দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন পরে।
এসএম