tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ০৭ অগাস্ট ২০২৪, ০৯:১৪ এএম

খালেদা জিয়া মুক্ত


খালেদা-জিয়া.jpg

গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।


মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের গত সোমবারের বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকেও মুক্তি দেয়া হয়েছে।

দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণেই জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ওই বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। তিনি এখন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে তার পরিবারের আবেদনে সরকার নির্বাহী আদেশে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়। এরপর ছয় মাস পর পর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। বিএনপি’র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল খালেদা জিয়া মুক্ত নন। তাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না।

তার পূর্ণ মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিও পালন করা হয় বিএনপি’র পক্ষ থেকে।

ওদিকে বঙ্গভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ১লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে এবং ইতিমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এফএইচ