শামীমের ফিফটিতে বাংলাদেশের পুঁজি
Share on:
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১২৫ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ২ বলে ১২৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে সূচনা করেন লিটন দাস। এরপর নিজের খেলা প্রথম বলে চার মারেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক খেলার আভাস দেন এই দুই ওপেনার। প্রথম ওভার থেকে ৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন লিটন। দলীয় ৯ রানে ৪ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাজমুল হাসান শান্ত। রনিকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন শান্ত। তবে দলীয় ১৮ রানে ফের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৮ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান শান্ত।
শান্ত'র বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এরপর দলীয় ২৪ রানে আউট হন রনি তালুকদার। ১০ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রনি। রনির বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন সাকিব। তবে দলীয় ৪১ রানে ফের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৬ বলে ৬ রান করে আউট হন সাকিব। সাকিবের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শামিম হোসেন।
দলীয় ৪১ রানে আবারো উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবার আউট হয়ে বাংলাদেশের বিপদ বাড়ান তাওহিদ হৃদয়। ১০ বলে ১২ রান করে ফিরে যান হৃদয়। এরপর ক্রিজে আসেন অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন। ইনিংসের দশম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৬১ রানে আউট হন রিশাদ হোসেন। ৭ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রিশাদ। রিশাদের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ। ক্রিজে এসে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান তাসকিন।
তাসকিনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাসুম আহমেদ। নাসুমকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন শামিম। এরপর দলীয় ৯৪ রানে ১৭ বলে ১৩ রান করে আউট হন নাসুম। নাসুমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শরিফুল। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। দলীয় ১০৪ রানে ৫ বলে ৫ রান করে আউট হন শরিফুল। শেষ ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন হাসান মাহমুদ।
অন্য ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মাঝে বাংলাদেশের পক্ষে লড়াকু ব্যাটিং করতে থাকেন শামিম। ৪০ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন শামিম। ৪২ বলে ৫১ রানে শামিম আউট হলে ১২৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে মার্ক অ্যাডায়ার সর্বোচ্চ ৩টি ও ম্যাথিউ হামফ্রেস নেন ২টি উইকেট।
এবি