tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
সারাদেশ প্রকাশনার সময়: ২১ অগাস্ট ২০২৪, ১৩:২৫ পিএম

আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি পুরো চৌদ্দগ্রাম


image_113792_1724213782

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ। উপজেলা পরিষদ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি প্রবেশ করায় চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পানির চাপে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার প্রায় ৫০ হাজারের অধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এতে করে সুপেয় পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রাতভর বৃষ্টিতে উপজেলার অধিকাংশ মাছের প্রজেক্ট, দীঘি ও পুকুর ভেসে গিয়ে কোটি কোটি টাকার মাছ চলে গেছে।

সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখা যায়, বন্যার পানি হাসপাতালে প্রবেশ করায় জরুরি ও বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। হাসপাতালে রোগীদের ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় করা হলেও বুক সমান পানি থাকায় রোগীরা বাড়িঘরে ফিরতে পারছে না।

রিমি পোলট্রি ফার্মের মালিক মিজানুর রহমান টিটু বলেন, বন্যার পানি ফার্মে প্রবেশ করায় প্রায় ৬০ লাখ টাকার লেয়ার মুরগি মারা গেছে। আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।

কে এম ফিশারিজের মালিক মো. খোরশেদ আলম বলেন, আকস্মিক বন্যায় আমার দুটি দীঘি ও তিনটি পুকুর ভেসে গেছে। আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার মাছ চলে গেছে।

গুণবতী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বন্যায় গুণবতী ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, আকস্মিক বন্যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুক সমান পানি। জরুরি ও বহির্বিভাগে পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রয়েছে। এক্সরে ও ইপিআই টিকা রুমেও পানি প্রবেশ করেছে। হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টারগুলোতে পানি প্রবেশ করায় চিকিৎসকরা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। যার কারণে হাসপাতালের কিছু রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানির কারণে সমগ্র উপজেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা পরিষদ এলাকায় পানি প্রবেশ করায় নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশন করতে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠে কাজ করছেন। তবে ঠিক কত হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

এনএইচ