রূপপুরে দশ দিনে ৫ রুশ নাগরিকের মৃত্যু
Share on:
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রূপপুরে বিদেশিদের আবাসন প্রকল্প গ্রিনসিটির বহুতল ভবনের একটি রুম থেকে ওই আলেকজান্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত রুশ নাগরিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের 'নিকিম অ্যাটোমস্ট্রয়' নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
পাবনা ( রূপপুর) প্রতিনিধি: সর্বশেষ গতকাল রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে কর্মরত ভরতনিকভ আলেকজান্ডার (৪৫) নামে এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে রূপপুর প্রকল্পে ৫ রাশিয়ান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রূপপুরে বিদেশিদের আবাসন প্রকল্প গ্রিনসিটির বহুতল ভবনের একটি রুম থেকে ওই আলেকজান্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত রুশ নাগরিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের 'নিকিম অ্যাটোমস্ট্রয়' নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, বিদেশি পাসপোর্টধারী ওই রুশ নাগরিক গ্রিনসিটি আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর বিল্ডিংয়ের ৬ষ্ঠ তলার একটি কক্ষে থাকতেন। রোববার কাজে না যাওয়ায় পাশের রুমের একজন তাকে খুঁজতে এসে দেখেন আলেকজান্ডার খাটের ওপর অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তিনি প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের খবর দেন। সংবাদ পেয়ে বিকেলে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মৃত আলেকজান্ডার নিয়মিত ব্যায়াম করতেন। তার কক্ষ থেকে ভেষজ কিছু খাদ্য উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায়, ভেষজ খাবারগুলো রাশিয়া থেকে নিয়ে আসা।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিগত ১০ দিনে রূপপুর প্রকল্পের ৫ রুশ নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এসব মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। শুধু একজনের ক্ষেত্রে মাদকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। অন্যদের রিপোর্টে হৃদরোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, রোববার মারা যাওয়া রুশ নাগরিক আলেকজান্ডারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক রুশ নাগরিক বারচেনকো আলেক্সেইয়ের মৃত্যু হয়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি শাকিরভ আলেক্সেইয়ের (৪০) নামে আরেকজনের ঘুমের মধ্যে মৃত্যু ঘটে।
এ ছাড়াও গত ৫ ফেব্রুয়ারি ( শনিবার) মারা যান ২ রাশিয়ান নাগরিক। এদের মধ্যে একজনের নাম ইঞ্জিনিয়ার চুকিন পাভেল (৪৮)। তিনি ট্রেস্ট রোসেম নামে রাশিয়ান সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
আরও পড়ুন:
অপরজনের নাম তলমাসেফ ভাইয়াসেলভের (৫৯)। তিনি এসএমইউ-১ নামে আরেকটি সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইন্সটলার ছিলেন। চুকিন পাভেল অসুস্থ হয়ে এবং তলমাসেফ ১৪ তলা থেকে নিচে নামার সময় পড়ে গিয়ে মারা যান বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
এইচএন