tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অপরাধ প্রকাশনার সময়: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:১৯ পিএম

কক্সবাজারে নারী পর্যটক গণধর্ষণ মামলা, গ্রেফতার ৫


গ্রেফতার.jpg

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো: জিল্লুর রহমান তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান তিনি।


কক্সবাজারে নারী পর্যটককে আলোচিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারদের মধ্যে মামলার অভিযুক্ত আসামি ও তাদের সহযোগী রয়েছেন। তবে এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ওই গণধর্ষণের মূলহোতা আশিক।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো: জিল্লুর রহমান তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান তিনি।

বিষয়টি নিয়ে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানায় কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ। সেখানে এ সংক্রান্ত সর্বশেষ বিস্তারিত তথ্য জানানোর কথা রয়েছে।

গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে ২৫ বছর বয়সী ওই পর্যটককে তুলে নেয়। তারা তার স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ও হত্যার হুমকি দিয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

পরে খবর পেয়ে গভীর রাতে জিয়া গেস্ট ইন নামের এক হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাব। এ ঘটনায় র‌্যাব হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকেও আটক করেছে।

ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার থানায় মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে ব্যবস্থাপক রিয়াজও রয়েছেন। আসামিরা কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা।

মামলার আসামিরা হলেন- কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আশিকুল ইসলাম আশিক, একই এলাকার মো: শফিউদ্দিন শফির ছেলে ইস্রাফিল হুদা জয়, আবুল কাশেমের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু ও কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

এদিকে পর্যটক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার আসামি রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে (৩৩) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

গতকাল শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তানজীন এ আদেশ দেন।

এ ঘটনায় ছোটন র‌্যাব হেফাজতে থাকলেও শনিবার তাকে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ।

এইচএন