tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০৫ জুন ২০২২, ১৭:৩৬ পিএম

পরবর্তী নিকার সভায় উঠতে পারে পদ্মা-মেঘনা বিভাগ গঠনের প্রস্তাব


মন্ত্রীপরিষদ

বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা’ এবং কুমিল্লার তিনটি ও নোয়াখালীর দুই জেলার তিনটি করে মোট ছয়টি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা’ বিভাগ গঠন করতে যাচ্ছে সরকার।


আগামী প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় ‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ বিভাগ গঠনের প্রস্তাব উঠতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

নিকারের অনুমোদনের পর এ বিষয়ে গেজেট জারি করা হলে দুটি বিভাগ গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এর আগে গত ২ জুন (বৃহস্পতিবার) নিকার বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত ছিল। ওই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল ‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ বিভাগ গঠনের প্রস্তাব। কিন্তু পরে সেই বৈঠক স্থগিত হয়। অন্যদিকে কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিভাগ গঠনের গেজেট জারি করা হলেই বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো বিভাগ গঠনের গেজেট হয়নি। নতুন বিভাগ গঠন করা হয়েছে বলে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা নিছক গুজব।

নতুন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, থানা গঠন বা স্থাপনের প্রস্তাব নিকার অনুমোদন হতে হয়।

নিকার আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ১১ জন মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১১ জন সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

নতুন আরও দুটি বিভাগ হলে দেশে বিভাগের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টিতে। এর আগের সব বিভাগের নাম স্থানীয় শহরের নামে হলেও এবার প্রথমবারের মতো দুই নদীর নামে দুটি বিভাগ হতে যাচ্ছে।

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ‘মেঘনা’ নদীর নামে কুমিল্লা ও ‘পদ্মা’ নদীর নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ‘ফরিদপুর’ ও ‘কুমিল্লা’ নামে বিভাগ গঠনের দাবি রয়েছে।

বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলার মধ্যে রয়েছে ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর। অন্যদিকে কুমিল্লার তিনটি জেলা কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর এবং নোয়াখালীর তিন জেলা নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর।

এমআই