সরকার পুরনো খেলায় মেতে উঠেছে : মির্জা ফখরুল
Share on:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নাম উল্লেখ করে প্রায় ১২শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপি মনে করে, অবৈধ এ সরকার আবারও সেই পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, টানা দুদিনে সংঘর্ষ বন্ধ করতে না পারায় যখন পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতাকে জনগণ দায়ী করছে, তখন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আড়ালের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণমাধ্যমে সত্য উদঘাটন হয়েছে যে, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। ভিডিও ফুটেজ থেকে অন্তত তিনজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা এ ঘটনার জন্য দায়ী। নিউ মার্কেটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোয় দীর্ঘদিন ধরে শাসকগোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সহায়তায় সেখানে অপরাধ জগত গড়ে উঠছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণমাধ্যমে উঠে এসেছে যে, ঢাকা কলেজ, টিচার ট্রেনিং সেন্টার, হোস্টেলসহ সবই ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাদ্দ পাওয়া রুম সাবলেট করে ভাড়া দেয়। এও রিপোর্টে এসেছে। ছাত্রলীগের সুনির্দিষ্ট কমিটি না থাকার কারণে অনেকগুলো গ্রুপ আছে। সেসবের মধ্যে বিরোধের কারণে এসব ঘটনা প্রায় ঘটে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার বিরুদ্ধে যখন জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, তখন জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য সরকার সংষর্ষ ঘটিয়ে বিএনপিকে জড়াচ্ছে। সরকার আগের মতই মামলার বেড়া জালে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বন্দি করার চক্রান্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, মামলা, গ্রেফতার, গুম, খুন, হত্যা এই সরকারের প্রধান অস্ত্র যা দিয়ে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে। নিউ মার্কেটের সন্ত্রাসী সংঘর্ষ, পুলিশের ভূমিকা এবং পরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও মামলা দায়ের আবারও প্রমাণ করলো, আওয়ামী লীগ সরকার ভয় দেখিয়ে, নির্যাতন করে, হত্যা করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়।
এমআই