গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মেরে ফেললেই হিজবুল্লাহ ভেঙে পড়বে না: খামেনি
Share on:
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি বলেছেন, হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারদের মেরে সংগঠনটিকে শেষ করতে পারবে না ইসরাইল। ইরান-ইরাক যুদ্ধে লড়াই করা সেনাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সামরিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এছাড়া পেজার, ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের বিস্ফোরণেও লেবাননে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। যদিও এসব বিস্ফোরণের দায় এখনো স্বীকার করেনি ইসরাইল। তবে ঘটনার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত ইঙ্গিত করছে, এসবের পেছনে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাত রয়েছে।
এসবের প্রেক্ষিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেছেন, ‘হিজবুল্লাহর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব শহিদ হয়েছেন। এতে হিজবুল্লাহর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে নিশ্চিত, তবে এর ফলে হিজবুল্লাহ শেষ হয়ে যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘হিজবুল্লাহর সাংগঠনিক এবং মানবিক শক্তি অনেক দৃঢ়। তাদের নেতৃত্ব, সক্ষমতা এবং শক্তিমত্তা অনেক পোক্ত, কিছু মানুষ শহিদ হলেও এতে তাদের ওপর বড় কোনো প্রভাব পড়বে না।’
গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই অশান্ত লেবানন সীমান্ত। সেখানে ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে তখন থেকেই থেমে থেমে
লড়াই চলছে। তবে সেপ্টেম্বরে লেবাননে ইলেকট্রনিক ডিভাইস বিস্ফোরণ এবং তারপর ইসরাইলি হামলায় শত শত মানুষ নিহতের ঘটনায় এখন পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা।
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের ইরান-সমর্থিত সামরিক গোষ্ঠীগুলো ইসরাইলে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি এবং ইরাকের ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স উল্লেখ্যযোগ্য। তাই ইসরাইল হামাসের সঙ্গে এখন এসব গোষ্ঠীগুলোকেও নিশানা বানাচ্ছে। লেবাননে ইসরাইলের বড় ধরনের সামরিক হামলা তারই প্রমাণ।
এনএইচ