tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
শিক্ষা প্রকাশনার সময়: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১৫:১০ পিএম

কোটা আন্দোলনে যেতে হলে হলে ছাত্রলীগের বাধার অভিযোগ


du-quata-srike-20240704125426

ঢাবির একাধিক হলে কোটা আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।


সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে আলাদা ব্যানারে মিছিল নিয়ে কোটা আন্দোলনে যোগ দেন তারা। তবে

জানা গেছে, এদিন বিজয় একাত্তর হল ও জহুরুল হক হল গেটে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। হলের শিক্ষার্থীরা যেন কোটা আন্দোলনে যেতে না পারেন সে জন্য সূর্যসেন হলের গেটে তালা লাগানো হয়। এছাড়া জসিম উদ্দিন হলের চারতলায় আটকে রাখা হয় কিছু শিক্ষার্থীকে। এছাড়াও হলে কোটা আন্দোলনকারীরা প্রচারণা করতে গেলে তাদের বের করে দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, সূর্যসেন হলে আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে বলা হয় আগামী এক ঘণ্টার জন্য বের হওয়া যাবে না। পরে আমি বলেছি, আমি মুহসীন হলে থাকি। তারপরও তারা জেরা করেছে৷ পরে জার্সিতে মুহসীন হল লেখা দেখে আমাকে ছাড়ে।

জসিম উদ্দিন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সাদ্দাম ও সৈকত গ্রুপের কর্মীরা বাধা দিয়েছে। হলের চার তলায় আমাদের আটকে রেখেছে।

সূর্যসেন হলের গেটের নিরাপত্তারক্ষী বলেন, আমরা গেটের দায়িত্বে আছি ঠিকই কিন্তু হল গেটে ছাত্রলীগ তালা মেরেছে। ছেলের মিছিলে যেতে না করেছে।

এফ রহমান হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, এখানে কোটা আন্দোলনকারীরা হ্যান্ড মাইকে আমাদের ডাকতে আসেন কিন্তু তাদেরকে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভেতরে সমস্যা থেকে এমন করতে পারে। আমি খোঁজ নিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের কোথাও যেতে বাধা দিচ্ছে না৷

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের কোটার পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটি পুনর্বহাল করা হয়। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এমএস