জয়পুরহাটে মারপিটের অভিযোগে কলেজছাত্রীর মামলা
Share on:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রহমতপুর গ্রামের কলেজছাত্রী মোছা. শাপলা আক্তারকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব।
কলেজছাত্রীর অভিযোগ, ‘গত (১ নভেম্বর) রাতে গ্রামের মন্ডল আব্দুল হান্নান ও তার ছেলে সাংবাদিক আহসান হাবিবসহ কয়েকজন তাদের বাড়িতে যায় একটা ভুল বোঝাবুঝি নিরসনের জন্য। এ সময় ঘটনাস্থলে জোবায়ের নামের এক ব্যক্তি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। ফলে সেখানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেখানে নেতৃত্ব দেন আহসান হাবিব।’
এদিকে, সব অভিযোগ অস্বীকার করে আহসান হাবীব বলেন, পূর্বের দিন প্রতিবেশী সাইদুলের বাড়ীতে পুলিশ আসার খবর দেওয়াকে কেন্দ্র করে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। পরে এই বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমাকে শাপলার জ্যাঠার মাধ্যমে তাদের বাড়িতে ডাকা হয়। সেখানে গেলে আমার মাধ্যমে জোবায়েরকে সেখানে ডেকে নেয়া হয়। সে আসার পর দু-চারটা কথা বলতেই শাপলা জোবায়ের গালে থাপ্পর মারে। ফলে সেখানে হট্টগল শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাবেক ইউপি সদস্য দুলাল সেখানে ঢুকে বাড়ির দু’দরজা তালাবদ্ধ করে আমাদের মারার নির্দেশ দেয়।
হাবীব আরও জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও সাজানো নাটক। মেয়ের জ্যাঠা ও বাবা-মার কল রেকর্ড আমার কাছে সংরক্ষণ করা আছে। তাদের কথা অনুযায়ী আমি নির্দোষ। পূর্বের রেস ধরে কিছু সাধারণ মানুষকে তারা ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। আর এ রেকর্ড থেকে জানা যায়, শাপলার গায়ে জোবায়ের নয় বরং শাপলাই জোবায়েরের গালে আগে থাপ্পর মেরেছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমিসহ কিছু সাধারণ মানুষের নামে মামলা দায়ের করেছে। যা মিথ্যা ও সাজানো।
এর আগে, গত ১লা নভেম্বর দু’পক্ষের পারিবারিক কোন্দলকে কেন্দ্র করে বাকযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্ট বিবাদ মিমাংসার জন্য গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের ডাকা হয়। আলোচনার শেষ পর্যয়ে বৈঠক স্থলে ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । পরে এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এমআই