tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অপরাধ প্রকাশনার সময়: ২১ মার্চ ২০২৩, ২০:৫৪ পিএম

সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির অবৈধ ভোটগ্রহণ বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে : এডভোকেট ড. হেলাল


Photo (1)

বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল ঢাকা জজ কোর্ট শাখার উদ্যোগে আজ ২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার রাজধানীর সিএমএম আদালত প্রাঙ্গনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এবং পুনরায় নির্বাচনের জন্য নতুন কমিশন গঠনের দাবিতে ঢাকা জজ কোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও অনুষ্ঠিত হয়।


মিছিলটি ঢাকা সিএমএম কোর্টের সামনে থেকে শুরু হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।

আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট আবু বাক্কার ছিদ্দিক, বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিল ঢাকা জজ কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট লুৎফর রহমান আজাদ।

বক্তব্য রাখেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক ইসি মেম্বার এডভোকেট আজমত হোসাইন, সাবেক ইসি মেম্বার এডভোকেট আব্দুল মালেক ইমন, সাবেক ইসি মেম্বার এডভোকেট মোজাহিদুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

বিক্ষোভ সমাবেশে এডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, গত ১৫, ১৬ই মার্চ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন ২৩-২৪ এ একদলীয় নির্বাচনের লক্ষে অবৈধ নির্বাচন কমিশন গঠন, আওয়ামী আইনজীবীদের ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে সীল মেরে,  পুলিশ দিয়ে বার ভবন দখল করে আইনজীবীদেরকে মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে নিজেরাই ফলাফল ঘোষণা করা এবং আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমার প্রতিবাদে ও অবৈধ ফলাফল বাতিল করে পূণরায় নির্বাচনের দাবীতে বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিলের উদ্যোগে সমগ্র বাংলাদেশের বার সমুহে এই প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আজ ঢাকা জজকোর্ট আইনজীবী শাখার পক্ষে এই বিক্ষোভ মিছিলের অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা এই অবৈধ নির্বাচন মানিনা। অবিলম্বে এই ভোটগ্রহণ বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার নির্দেশদাতা স্বয়ং আইনমন্ত্রী ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল। আমরা তাদের পদত্যাগ দাবি করছি। নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, আইনজীবীদের মারধর, মিথ্যা মামলা ও সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা গোটা দেশবাসীকে ব্যথিত করেছে।

অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের মতো স্থানে ভোটের শুরু থেকেই এই নির্বাচনে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও কারচুপি গোটা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তৎক্ষণাত সংকট সমাধানে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো সমাধান মেলেনি। এর মধ্যেই আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা নিজেরাই তাদের ১৪ জন প্রার্থী নিরঙ্কুশ বিজয়ী করে ফলাফল ঘোষণা করার ফলে ভোট ডাকাতিতে সিদ্ধহস্ত আওয়ামী লীগের মুখোশ আরেকবার উন্মোচিত হলো।

সমাবেশে আইনজীবী নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের ছত্রছায়ায় দেশের কোথাও কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, জনগণের ভোটারাধিকারে বিশ্বাসী নয়, বিগত ২০১৪ এবং ২০১৮ সংসদ নির্বাচন ও বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় নির্বাচনে ইতোপূর্বে বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

সর্বশেষ প্রমাণ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রমাণিত হলো। এর আগে ঢাকা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনেও একই ধরনের প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, দেশের সাধারণ মানুষের শেষ আশা ভরসাস্থল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সমিতিতে তারা নগ্ন হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকবে। কিন্তু নির্বাচনের নামে সেখানে প্রহসন করা হলো।

সভাপতি ও সম্পাদক পদপ্রার্থী একাধিকবার প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সাথে সাক্ষাৎ করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ও পুলিশী তান্ডবের প্রতিকার প্রার্থনা করেন। এরপরও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও পুলিশি তান্ডবের দৃশ্যমান কোন প্রতিকার হয়নি। আমাদের দুঃখ, আইনজীবীদের একটি সমিতির নির্বাচনেও পুলিশকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করতে হয়! এটা জাতির জন্য বড় লজ্জার বিষয়। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

এন