মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে সহিংসতা বন্ধের আহবান
Share on:
মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা এবং সহিংসতার ঘটনায় জান্তাকে দায়ী করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট (আসিয়ান)। তবে এমন বিবৃতিকে ‘একতরফা’ উল্লেখ করে কঠোর সমালোচনা করেছে সামরিক সরকার। একই সঙ্গে আগামীতে আসিয়ানের সভাপতিত্ব গ্রহণ না করার কথা জানিয়েছে তারা।
মিয়ানমার সংকট সমাধানে করণীয় নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় আলোচনা করে ১০ সদস্যের জোটটি। একটি শান্তি পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে আসিয়ান। এটি পাঁচ-দফা ঐক্যমত নামে পরিচিত। সব পক্ষের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে এতে। তবে মিয়ানমারের জেনারেলরা এটাকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না। প্রথম দিকে এই পাঁচ দফায় ঐকমত্যে পৌঁছালেও এখন তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে জান্তা।
মঙ্গলবারের (৫ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে আসিয়ানের নেতারা মিয়ানমারে সহিংসতা ও বেসামরিক নাগরিকের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধে সামরিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজক ইন্দোনেশিয়া হতাশা ব্যক্ত করে বলেছে, আসিয়ানের পরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই।
মিয়ানমার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে’ বুধবার প্রকাশিত বিবৃতিতে পর্যালোচনাটিকে ‘বস্তুগত নয়’ এবং ‘একতরফা’ বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি জান্তা। জোটের সদস্যদের ‘আসিয়ান সনদের বিধান ও মৌলিক নীতিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসৌদি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন মিয়ানমার আগামী ২০২৬ সালে আসিয়ান সম্মেলনের সভাপতিত্ব গ্রহণ করছে না। তাদের পরিবর্তে ফিলিপাইন ভূমিকা পালন করবে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল। কিন্তু ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে সু চিকে বন্দি করে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতায় দশ লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। জান্তাবিরোধীদের দমনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিকদের ওপর বোমা ও গোলাবর্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।
এবি