মোদীর নতুন সরকারে মন্ত্রিত্ব পাচ্ছে কোন কোন শরিক
Share on:
টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার (৯ জুন) শপথ নিচ্ছে নরেন্দ্র মোদী।
তার সঙ্গে শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রীরাও। যদিও এদিন পুরো মন্ত্রিসভা শপথ নেবে না। সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নতুন মন্ত্রিসভায় মোট সদস্য থাকতে পারেন ৭৮ থেকে ৮১ জন। তবে রোববার প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০ জন মন্ত্রী শপথ নেবেন।
আশা করা হচ্ছে, বিজেপির পাশাপাশি জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) অন্য শরিক দলগুলো থেকে মন্ত্রী হওয়া কয়েকজনও আজ শপথ নেবেন।
তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি)
রাম মোহন নাইডু: অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম থেকে তিনবারের সংসদ সদস্য রাম মোহন নাইডু টিডিপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এমবিএ ডিগ্রিধারী ৩৬ বছর বয়সী এ নেতা টিডিপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন এবং বিদায়ী লোকসভায় দলের ফ্লোর লিডার ছিলেন। তার বাবা কাইয়েরান নাইডু দলটির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা, সাবেক বিধায়ক, সাবেক এমপি এবং ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত যুক্তফ্রন্ট সরকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন।
চন্দ্রশেখর পেমমাসানি: গুন্টুর থেকে নির্বাচনে জয়ী চন্দ্রশেখর পেমমাসানি টিডিপির আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ৪৮ বছর বয়সী এ চিকিৎসক এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে ধনী প্রার্থীদের মধ্যে একজন ছিলেন। তার পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি রুপিরও বেশি। ১৯৯৯ সালে ডা. এনটিআর ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর চন্দ্রশেখর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইন্টারনাল মেডিসিনে এমডি করেন।
জনতা দল (ইউনাইটেড)
লালন সিং: চারবারের এমপি লালন সিংয়ের আসল নাম রাজীব রঞ্জন সিং। ৬৯ বছর বয়সী এ নেতা জেডিইউর সাবেক জাতীয় সভাপতি এবং বিহারের মন্ত্রী। লালন সিং বহু বছর ধরে নীতিশ কুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন। তিনি সমাজতান্ত্রিক আইকন এবং সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরী ঠাকুরের পরামর্শক ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বেগুসরাই আসনের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে মুঙ্গের আসন থেকে জয়লাভ করেছেন।
রাম নাথ ঠাকুর: ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করা রাম নাথ ঠাকুর বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরী ঠাকুরের ছেলে। তিনি রাজ্যসভার সদস্য এবং ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে জনতা দলের (ইউনাইটেড) নেতা। অতীতে বিহার আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন এবং লালু প্রসাদ যাদবের প্রথম মন্ত্রিসভায় আখ শিল্প মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রাম নাথ। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত নীতিশ কুমারের দ্বিতীয় সরকারে রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার, আইন এবং তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভারও সদস্য ছিলেন রাম নাথ ঠাকুর।
লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)
চিরাগ পাসোয়ান: বিহারের হাজিপুরের সংসদ সদস্য চিরাগ পাসোয়ান লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি সাবেক মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে। চলচ্চিত্রে কিছুদিন কাজ করার পর রাজনীতিতে প্রবেশ করেন চিরাগ। ২০২০ সালে বাবার মৃত্যুর পর এলজেপির হাল ধরেন তিনি।
অনুপ্রিয়া প্যাটেল: অনুপ্রিয়া প্যাটেল ২০১৬ সাল থেকে আপনা দলের (সোনিলাল) সভাপতি। ২০২১ সাল থেকে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। ২০১৪ সাল থেকে লোকসভায় মির্জাপুরের প্রতিনিধিত্ব করছেন অনুপ্রিয়া।
জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ)
এইচডি কুমারস্বামী: সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার ছেলে এইচডি কুমারস্বামী জেডিএসের নেতা এবং কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ২০০৬ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হন এবং বিজেপির সঙ্গে জোট সরকারের নেতৃত্ব দেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে ক্ষমতায় বসেন তিনি।
জয়ন্ত চৌধুরী: রাষ্ট্রীয় লোকদলের (আরএলডি) জয়ন্ত চৌধুরী রাজ্যসভার একজন সদস্য। তিনি মূলত দলের তৃণমূল পর্যায়ের সঙ্গে সংযোগ এবং নেতৃত্বের জন্য সুপরিচিত। লোকসভায় উত্তর প্রদেশের মথুরা কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন জয়ন্ত।
এমএইচ