tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০৫ মার্চ ২০২২, ১৬:৩৪ পিএম

চলমান যুদ্ধে বাংলাদেশের পোশাক খাতে ক্ষতির আশঙ্কা


পোশাক

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে ইউরোপে যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে, তার নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার সুযোগ বাংলাদেশের নেই৷ বরং এই যুদ্ধ যত জোরদার ও দীর্ঘায়িত হবে, ততই বিপদের আশঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।


এ যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি আশঙ্কা পোশাক খাতে। অন্তত এক বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাশিয়া ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে পোশাক রপ্তানির গতি কমেছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে অর্ডার খুব বেশি নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মালিকরা।

যুদ্ধ যত বেশি সময় ধরে চলবে, ততই পোশাক রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা দেখা দেবে। পাশাপাশি সুতাসহ কাঁচামাল এবং জাহাজসহ পণ্য পরিবহন ব্যয় বাড়বে, তাতে পোশাক খাতই বেশি শঙ্কায় পড়বে বলে মনে করছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।

বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিশ্বের যখনই এ ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করে, তার প্রভাব এমনিতেই পড়ে। পাওয়ার ফুল দুটি দেশ তাতে আশপাশে তো প্রভাব পড়বে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সময় যতই যাবে প্রভাবের গভীরতা ততই বাড়বে।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে এরই মধ্যে লোকাল মার্কেটে জিনিসের দাম বাড়া শুরু হয়েছে। পোশাক খাতে তার প্রভাব পড়বে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে ৪১৫ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলারের পোশাক। যা আগের বছরের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ১১০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় তৈরি পোশাকসহ কিছু পণ্য রপ্তানি হয়। দেশটি থেকে গম, প্রতিরক্ষা সরঞ্জামসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা যায়।

উল্লেখ্য, চলমান যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাজারে তেল-গ্যাস, গম, ভুট্টা, সরিষা, মসুর ডালের দাম বেড়েছে। কারণ এসব পণ্য ইউক্রেন-রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। যুদ্ধের অজুহাতে দেশীয় ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়েছে। ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য তুলাসহ বেশ কিছু কাঁচামাল আমদানি করা হয় দেশ দুটি থেকে। ফলে যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন।

এমআই