আবরারের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা, শিবিরকে জড়িয়ে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা
Share on:
আবরার ফাহাদের তৃতীয় শাহাদাতবার্ষিকীর স্মরণসভায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা, পুলিশের গ্রেপ্তার ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আধিপত্যবাদীদের দোসর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হওয়া বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদের তৃতীয় শাহাদাতবার্ষিকীর স্মরণসভায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা, পুলিশ কর্তৃক আহতদের গ্রেপ্তার এবং ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক প্রতিবাদ যৌথ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ছাত্রলীগের নৃশংস বর্বর রূপ দেখল দেশবাসী। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বর্বর নির্যাতনে নিহত বুয়েটের মেধাবী ছাত্র শহীদ আবরার ফাহাদের তৃতীয় শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ স্মরণসভায় বিনা উস্কানিতে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খানের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সভায় ভাংচুর করে ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ১০ নেতাকর্মীকে আহত করে। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকলেও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের মদদ দিতে তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পরে আহতরা চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে গেলে সেখানেও আহতদের ওপর নির্মম হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। আর পুলিশ চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের কিছু না বলে উল্টো সন্ত্রাসীদের নির্দেশনা মত আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। এমনকি গ্রেপ্তারের সময় গাড়িতে উঠার সময়ও পুলিশের সামনেই আহত নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। জঙ্গিবাদী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে উপস্থিত সাংবাদিক ও মাইক বহনকারী রিক্সাওয়ালাও রেহাই পায়নি। মেধাবী ছাত্র আবরারকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় যেখানে দেশের মানুষ ও ছাত্রসমাজ বিক্ষুদ্ধ, সেখানে পুরো ছাত্রসমাজের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে প্রমাণ হয় এরাও খুনি বুয়েট ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের উত্তরসূরি। আবারো প্রমাণ হয়েছে ছাত্রলীগের সাথে ছাত্রসমাজের কোনো সম্পর্ক নেই, বরং এরা অবৈধ সরকারের লেজুরবৃত্তি ও সন্ত্রাসকেই নিজেদের একমাত্র কর্মসূচি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মূলত ছাত্রলীগের ইতিহাস খুন, সন্ত্রাসের ইতিহাস। নানামুখি অপকর্মের কারণে ছাত্রলীগের প্রতি দেশবাসী ও ছাত্রসমাজ গণধিক্কার দিচ্ছে।
অন্যদিকে ডিবিসি নিউজসহ কিছু গণমাধ্যম ছাত্রলীগের সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এ ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের নাম জড়িয়ে দিয়েছে। অথচ এ ঘটনায় হামলার শিকার হয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা এবং হামলাকারীরা ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এখানে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। এমন একটি নিকৃষ্ট ঘটনার সাথেও ছাত্রশিবিরকে জড়ানোর ঘৃণ্য অপচেষ্টার কারণে এসব গণমাধ্যমকেও ছাত্রলীগের মত ধিক্কার জানাচ্ছে জনগণ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কাছে ছাত্রসমাজ মাথানত করবে না। ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত থাকলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রেখে বলতে চাই, অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রনেতাদের মুক্তি দিতে হবে। ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় নিজেদের জান-মালের হেফাজতে প্রয়োজনে ছাত্রসমাজ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজপথে নেমে আসবে। আর তখন কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের মদদদাতাদের বহন করতে হবে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
এন