tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
শিক্ষা প্রকাশনার সময়: ০২ জানুয়ারী ২০২৩, ২২:২৭ পিএম

ভর্তি বন্ধ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের, ১২টির সময় বাড়ল


ইউজিসি

স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইস্যুতে দেওয়া আল্টিমেটামের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া চার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এছাড়াও স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন মাসের সময় ও ছয়টিকে নতুন করে ছয় মাসের সময় দেওয়া হয়েছে।


সোমবার (২ জানুয়ারি) এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ইউজিসি।

ভর্তি বন্ধ চার বিশ্ববিদ্যালয়ের:

ইউজিসি’র পাঠানো চিঠি সূত্রে জানা গেছে, স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনে অগ্রগতি হয়নি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর মধ্যে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির নাম রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখানে অধ্যায়নরত সকল শিক্ষার্থীর নিয়মিত পাঠদান ও পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম চলবে। নতুন করে তারা শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না।

তিন মাসের সময় পেয়েছে ছয় বিশ্ববিদ্যালয়:

নতুন করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, মিলেনিয়াম ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাদের এ সময়ের মধ্যে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক সব কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছয় মাসের মধ্যে স্থানান্তর হবে ছয় বিশ্ববিদ্যালয়:

এ তালিকায় দেখা গেছে, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা), উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও পিপলস ইউনিভার্সিটির নাম রয়েছে। এ ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পরবর্তী ছয় মাস পর স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে নতুন করে সময় দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো আউটার ক্যাম্পাস রয়েছে সেগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে সেখানে সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় ব্র্যাক ও মানারতসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হতে হবে। আইন অমান্য করা এমন ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করে সব কার্যক্রম সেখানে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে যাদের বিদ্যুৎ সংযোগসহ ইউটিলিটি সমস্যা রয়েছে তাদের তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভবন নির্মাণাধীন থাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যেগুলো দ্রুত যাওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে তাদের ছয় মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জমি কেনাসহ কোনো ধরনের অগ্রগতি হয়নি ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের। যারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্পাস রয়েছে। তারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম স্থানান্তরে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছর থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পরে যদি তারা তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়, সেক্ষেত্রে ভর্তি বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে বিবেচনা করা হবে।

এমআই