tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:২০ পিএম

এক সন্তানকে মেরেছে, অন্য সন্তানকে নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে : আয়হামের মা-বাবা


aiham-20240306155041

মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে আহনাফ তাহমিন আয়হামের (১০) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা তুলে নিতে শিশুটির বাবা-মাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।


পরিবারের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোনের মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে বলা হচ্ছে। অভিযুক্তরা বিভিন্ন উপায়ে মামলা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করছে।

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়রুন্নাহার এসব অভিযোগ করেন।

তারা বলেন, যারা আমার এক সন্তানকে মেরে ফেলেছে, তারাই আবার আমার অন্য সন্তান নিয়ে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। আমার অন্য সন্তান কোন স্কুলে পড়ে, বয়স কত, এসব বিষয়ে জানার জন্য বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন দিচ্ছে।

বাবা ফখরুল আলম বলেন, আমার চাওয়া একটাই- বিচার যেন সুষ্ঠু হয়। যারা ভুয়া ডাক্তার তাদের বিরুদ্ধে যেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ নেন।

তিনি বলেন, ওপর মহল থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যেন পরিবর্তন করা হয় আর আসামিদের জামিন দেওয়া হয়। ফোন দিয়ে বলা হচ্ছে— আমরা বিচার পাব না। এখন অনিরাপত্তায় ভুগছি।

কারা এসব হুমকি দিচ্ছে তাদের নাম জানতে চাইলে আয়হামের বাবা বলেন, তাদের পরিচয় আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আপনাদের কাছে পরে বলব। আমরা চাই এই মামলাটি ডিবি অথবা পিবিআইতে হস্তান্তর করা হোক।

আয়হামের মা খায়রুন্নাহার বলেন, ওরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের না জানিয়ে ওটির (অপারেশন থিয়েটর) মধ্যে তিন ঘণ্টা আয়হামকে আটকে রেখেছে। হাসপাতালে একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার পর্যন্ত নেই। এমনকি আমাদের অন্য হাসপাতালেও নিতে দেয়নি। এজন্যই এটাকে আমরা হত্যাকাণ্ড বলছি। এটা অবহেলাজনিত কোনো মৃত্যু নয়। মারা যাওয়ার পর আমাদেরকে জানায়নি তারা। আমাদের পারিবারিক চিকিৎসক এসে বের করেছে— আয়হাম মারা গেছে।

তিনি বলেন, ঘটনার পর মামলায় জামিন দিতে ওপর মহল থেকে চাপ দিচ্ছে বলে আমাদের আইনজীবী জানিয়েছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই। তিনি যদি আমাদের দিকে না তাকান, তাহলে আমরা কখনোই ন্যায়বিচার পাব না।

মানববন্ধনে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএম