জামায়াতে ইসলামীর অভিধানে ‘আঁতাত’ আর ‘আপস” বলে কোনো শব্দ নেই: মুজিবুর রহমান
Share on:
‘যে দলের শীর্ষ নেতারা ইসলামী আন্দোলন করার অপরাধে মাথা নত না করে ফাঁসির মঞ্চে শাহাদাত বরণ করেছেন, যেখানে গত ১৫ বছরে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২৪৬ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গু করা হয়েছে, প্রায় এক লাখ নেতাকর্মীকে গুরুতরভাবে আহত করা হয়েছে এবং বর্তমান আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের দীর্ঘ দিন ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, এমন এক ভয়াবহ নাজুক পরিস্থিতিতে কেউ কেউ জামায়াতে ইসলামীর সাথে আওয়ামী লীগের আঁতাতের কথা বলে বেড়াচ্ছেন, এটা বালখিল্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, জামায়াতে ইসলামী কখনো কারো সাথে আপস কিংবা আঁতাতের রাজনীতি করে না। জামায়াতে ইসলামীর অভিধানে ‘আঁতাত’ আর ‘আপস’ বলে কোনো শব্দ নেই। জামায়াত দীর্ঘ ১০ বছর পর ঢাকায় একটা সমাবেশ করেছে, তাতেই যদি আঁতাত হয়ে যায়, তাহলে যারা প্রতিনিয়ত সমাবেশ করছেন তারাও কী সরকারের সাথে আঁতাত করে চলেছেন? আসলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এসব প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে।’
শনিবার (৮ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা জেলার উদ্যোগে জেলা আমির কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মো: রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও জেলা সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেলের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালি আয়োজিত কর্মী সম্মলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা প্রত্যেকে আখেরাতের পথের যাত্রী। আমাদেরকে আখেরাতে মুক্তির লক্ষে হযরত ইবরাহিম ও হজরত ইসমাঈলের আ:-এর ত্যাগের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। রাসূল সা: মদীনায় যেভাবে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সেভাবে বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়।
তিনি বর্তমান দেশের অবস্থা উল্লেখ করে বলেন, আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি এর অর্থ এই নয় যে আমরা সরকারের পাতানো নির্বাচনে যাচ্ছি। আমরা শুধু কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যাব। যারা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে, তারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দেশের জনগণ নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এবার তারা কোনোভাবেই বিনা ভোটের নির্বাচন হতে দেবে না।
আরও বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কুষ্টিয়া-যশোর জোন পরিচালক মোবারক হোসাইন।
উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো: আসাদুজ্জামান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মো: আব্দুল কাদের, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি কাইয়ুম উদ্দীন হীরক, মো: জিয়াউল হক, মাওলানা মহিউদ্দীন প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি