পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি : প্রত্যয়ের দিকেই তাকিয়ে সবাই
Share on:
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধার হয়নি তিনদিনেও। খোঁজ মেলেনি ফেরির ইঞ্জিনচালক হুমায়ুন কবিরের। হামজা, রুস্তমের পর কাজে যোগ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএর সবচেয়ে বড় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, হামজা ও রুস্তমের ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে সক্ষমতা না থাকলেও প্রত্যয়ের রয়েছে। এ কারণে প্রত্যয়ের দিকেই তাকিয়ে আছে সবাই।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে চতুর্থ দিনের মতো উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় যাতে ফেরিটিকে টেনে উপরে তুলতে পারে সেজন্য পানিতে নেমেছে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহীনির ডুবুরি দল। ট্রাকসহ ডুবে যাওয়া ফেরি ও নিখোঁজের সন্ধানে তারা এই শীতের মধ্যেও নিরলসভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম জানান, এয়ার লিফটিং ব্যাগ ফেরির নিচে দিয়ে হাওয়ার মাধ্যমে ফেরিটিকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপরই ফেরিটি টেনে তোলা হবে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে পাটুরিয়া পাঁচ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে ৯টি ট্রাক নিয়ে রজনীগন্ধা নামের ইউটিলিটি ফেরিডুবির ঘটনা ঘটে। ফেরিতে কোনো যাত্রীবাহী বাস ছিল না। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। নিখোঁজ থাকেন রজনীগন্ধা ফেরির সেকেন্ড অফিসার হুমায়ুন কবীর।
এ সময় উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থানরত উদ্ধারকারী জাহাজ হামজাকে ডাকা হয়। বুধবার দুপুরে আসে আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম। এ দুটি জাহাজ মাত্র তিনটি ট্রাক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ২৫০ টনের ফেরিটি উদ্ধারে তাদের সক্ষমতা না থাকায় ডাকা হয় প্রত্যয়কে। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় শুক্রবার দুপুর ২টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে।
এনএইচ