tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০৫ মে ২০২৪, ০২:৩০ এএম

ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ


iom-20240505022715

সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এ সফর।


রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক। অ্যামির সফরে অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচী শুরু করবেন।

ঢাকার এক কূটনীতিক জানান, জাতিসংঘের সঙ্গে আমরা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি। তারই অংশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানকে বাংলাদেশে যতটা সম্ভব আনা যায় সেই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্থাটির সব প্রধানকে হয়তো আনা সম্ভব হবে না। তবে যতটা আনা যায় বা তারা বাংলাদেশ সফর করেন (সেই চেষ্টা করা হচ্ছে)। আইওএম ডিজি (মহাপরিচালক) দিয়ে সফরটা শুরু হচ্ছে। এ মাসের মাঝামাঝি এবং শেষের দিকেও কারও কারও আসার কথা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব, সারা বছর কাউকে না কাউকে আনতে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফরে আসবেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম। এছাড়া এ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের।

আইওএম মহাপরিচালকের সফরে কোন বিষয়গুলো গুরত্ব পাবে জানতে চাইলে এক জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, অভিবাসন নিয়ে তারা কাজ করেন। তার মানে (সফরে) অভিবাসন ইস্যুতে ফোকাস থাকবে। আমাদের সঙ্গে তারা মূলত কাজ করছে, রিটার্ন এবং ইন্টিগ্রেশানের ওপর। এক্ষেত্রে এখানে ওদের কাজের ফোকাসটা হয়ে গেছে আমাদের লিবিয়া বা বিভিন্ন জায়গায় যেসব লোকজন আটকা পড়ছে তাদের ফিরিয়ে আনা। আইওএম বলকান থেকেও বাংলাদেশিদের আনার চেষ্টা করছে। তাদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশিদের ফেরাতে সহায়তা করা, এ বিষয়টাতে তারা বেশি এনগেজ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে অভিবাসন ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

অভিবাসনের বাইরে অ্যামির সফরে রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন প্রসঙ্গটি গুরত্ব পাবে জানিয়ে এ কূটনীতিক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু তো তাদের ফোকাসে থাকবে। আইওএম ডিজি কক্সবাজার যাবেন। উনি আসলে সঙ্গে করে কিছু দাতা নিয়ে আসার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের তহবিলের ব্যাপারটা আছে।

বাংলাদেশ যে ডায়াসপোরা নীতি নিয়ে কাজ করছে তাতে সহায়তা করছে আইওএম। অ্যামির সফরে ডায়াসপোরা ইস্যু নিয়ে আলোচনা আসতে পারে। এছাড়া এবারের ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ঢাকা থেকে প্রকাশ করার পরিকল্পনা আছে আইওএম প্রধানের।

জানা গেছে, ঢাকা সফরকালে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। অ্যামি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসনবিষয়ক জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন।

এর আগে, তি‌নি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।

এনএইচ