ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়ায়: কৃষিমন্ত্রী
Share on:
বাংলাদেশে পেঁয়াজের উৎপাদনশীলতা বেশি উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, স্বাভাবকিভাবেই মানুষের প্রশ্ন, তাহলে কেন পেঁয়াজের দাম অস্বাভাববিক হয়, পেঁয়াজ নিয়ে নানারকম রাজনীতি শুরু হয়। সামনে ঈদ, এর আগেই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে পাবনার সুজানগর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের মাসুদুর রহমান ও সাইফুল ইসলামের বাড়িতে আধুনিক প্রযুক্তিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ পদ্ধতি পরিদর্শণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন পেঁয়াজ নিয়ে কেন এতো সমস্যা সেটি দেখতে। আমরা গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছি, কি করে পেঁয়াজের দাম সবার গ্রহণযোগত্যার মধ্যে রাখা যায়। পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে না পারার কারণে অনেক পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। ঘরে রাখতে না পারায় কৃষক দ্রুত পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। ফলে কৃষকের হাতে তখন কোনো পেঁয়াজ থাকে না। পরে আবার দাম বেড়ে যায়।
এজন্য আমরা দেশীয় ও আধুনিক প্রযুক্তিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি। এজন্য আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় ৬০টি করে পেঁয়াজ সংরক্ষণের গোডাউন ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি।’
তিনি সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কে বরাদ্ধ দিল, না দিল, কে কি হুমকি দিলো, চোখ রাঙালো, সেই দেখে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। সিদ্ধান্ত হবে এই দেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বার্থকে বিবেচনা করে। সেইটাই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। তার বাইরে শেখ হাসিনা কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হবে। আমরা সবাই মিলে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবো।’
পরে কৃষিমন্ত্রী সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামে ড্যাম কর্তৃক নির্মিত পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণের মডেল সংরক্ষণাগার উদ্বোধন করেন এবং আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। সেখান থেকে তিনি সদর উপজেলার জালালপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলামের জমিতে ব্রি-৮৯ জাতের বোরো ধান কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে শস্য কর্তন উৎসবে অংশ নেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এন