tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৯:২২ পিএম

বিএনপির আন্দোলন আবারও বিফলে যাবে: মাহবুবউল আলম হানিফ


45

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন আগেও বিফলে গেছে, আবারও বিফলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।


তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। এই সরকারের পতন ঘটানোর শক্তি বিএনপি-জামায়াত বা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, তাদের দোসর কারও নেই। তাদের আন্দোলন আগেও বিফলে গেছে, আবারও বিফলে যাবে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে সরকারি অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ এর বিশেষ প্রদর্শনী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে- বিএনপি নেতা খন্দকার মোশরফ হোসেনের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এখন অনেক সচেতন। তারা ইতিহাস জানে। তারা জানে এই বিএনপি একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করছে। তারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। কারণ তারা সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে না।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণই মূলত স্বাধীনতার ডাক বা ঘোষণা। কারণ ভাষণের পরই গোটা বাঙালি জাতি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিল।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতি, দেশ সৃষ্টি করার ভাষণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা (৭ মার্চের ভাষণ)। বিশ্বখ্যাত এ ভাষণের সঙ্গে অন্য ভাষণের তুলনা হতে পারে না। এই ভাষণ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট ভাষণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একাত্তরের পরাজিত শক্তি জাতির পিতার সব স্মৃতি মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। জয় বাংলা নিষিদ্ধ ছিল, ৭ মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধুর ছবি নিষিদ্ধ ছিল। আজ তারাই সকাল-বিকাল গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্রের সবক দেয়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে নির্মিত ‘মাইক’ সিনেমার প্রশংসা করে হানিফ বলেন, সিনেমাটি অসাধারণ হয়েছে। পচাঁত্তরের পরে ইতিহাসকে উল্টো পথে চলানোর চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যার কারণে একটি প্রজন্ম ভুল ইতিহাস জানতো, সঠিক ইতিহাস জানতো না।

তিনি বলেন, মাইক সিনেমায় সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমাটি ইতিহাসের মাইলফলক, ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

এসময় মাইক সিনেমার শিশু শিল্পীদের প্রশংসা করে হানিফ বলেন, শিশু শিল্পীদের অভিনয় দেখে মনে হয়নি আমরা দূর থেকে দেখেছি। এতো সাবলীল অভিনয় ছিল।মাইক’র মতো ইতিহাসনির্ভর সিনেমা আরও হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, কবি অসীম সাহা, ‘মাইক’ চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান, আলী আবদুল্লাহ দাইয়ান ভূঁইয়া প্রমুখ।

এন