সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, তলিয়ে গেছে আশ্রয়কেন্দ্র
Share on:
বিগত কয়েকদিনের উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে সিলেট নগরসহ জেলার অন্তত ১০টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় তলিয়ে যাওয়া বাড়িঘর ছেড়ে দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে হাজারো মানুষ।
সেখানে গিয়েও পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। একতলা বিশিষ্ট অনেক আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতরেও বানের পানি উঠে গেছে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাটে এমন চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, অনেকগুলো আশ্রয়কেন্দ্রের নিচতলায় পানি উঠে গেছে। আর একতলা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে পানিবন্দি থাকায় জরুরি প্রয়োজনে নৌকা ব্যবহার করে ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন উপজেলায় কয়েক লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সড়ক ডুবে গিয়ে উপজেলা এবং জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার এবং সরকারি দফতরগুলোতে উঠেছে পানি। বন্যাকবলিত হয়ে পড়া সিলেট নগরের আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান লুসিকান্ত হাজং বলেন, উপজেলার ৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। মোট ৪৬ হাজার ৫০০ বানভাসি মানুষ আছে এ উপজেলায়। তাদের জন্য ১২ মেট্টিক টন চাল, ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আরও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুর্গত মানুষের সেবায় ৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির কারণে উপজেলায় ৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়। এ যাবত সাড়ে ৩০০ জন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। বানভাসি মানুষের সংখ্যা ৬৯ হাজার নির্ণয় করা হয়েছে। এসব মানুষের জন্য আগে ২৪ টন চাল ও নতুন করে আরো ৫ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জকিগঞ্জর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) পল্লব হোম দাস বলেন, উপজেলায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলায় ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ যাবত ১২টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।
এইচএন