ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই আইনের শাসন নিশ্চিত করা সম্ভব : ড. মাসুদ
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, বর্তমানে আমরা যে সমাজে বসবাস করছি তা আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। অন্যায়, অবিচার, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও অশ্লীলতা গোটা জাতিকে গ্রাস করেছে। অপহরণ, ধর্ষণ, গুম, খুন, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। বিচার প্রার্থীরা আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশে ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও মানবধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। একমাত্র ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই আইনের শাসন নিশ্চিত করা সম্ভব।
রোববার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের পারমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আইনজীবীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা জজকোর্ট আইনজীবী শাখার সহ-সভাপতি এডভোকেট লুৎফর রহমান আজাদের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি এডভোকেট আবু বাক্কার সিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট এস এম কামাল হোসাইন। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, এডভোকেট রিয়াজুল হক রিয়াজ, এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া সহ অন্যান্য আইনজীবী নেতৃবৃন্দ।
আইনজীবীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, প্রত্যেককে প্র্যাকটিসিং ল’ইয়ার হতে হবে। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অধ্যয়নের পাশাপাশি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার কেস স্টাডি করতে হবে। একজন দক্ষ আইনজীবী যেমন হতে হবে, তেমনি একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম হতে হবে।
তিনি বলেন, একজন মজলুমের দোয়া ও আল্লাহর রহমতের মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। আইনজীবীদের মজলুমের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। অসহায় মজলুমদের কোনো রকম ফি ছাড়াই সেবা দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। একজন ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে।
এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, উত্তীর্ণ নবাগত আইনজীবীদের স্বপ্ন দেখা ভুলে গেলে চলবে না। হাইকোর্টের এই ধাপ পার হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে নিজের ও আন্দোলনের সামগ্রিক তৎপরতাকে আরো বহুদূরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করতে হবে। প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য অবদান রাখতে হবে।
এডভোকেট এস. এম. কামাল উদ্দিন বলেন, আইন পেশায় এই ধাপ উত্তীর্ণ হওয়া এটা আপনাদের একটি অর্জন মাত্র। দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আপনার আইন অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরার সূচনা হয়েছে। এখানে তিনটি বিষয় মনে রাখতে হবে সব সময়ে নিজের কমিটমেন্ট, সিরিয়াসনেস ও নৈতিকতা যেন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়।
এমআই