স্মার্ট বাংলাদেশের নমুনা হলো দেশব্যাপী গ্যাস-জ্বালানি সংকট
Share on:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সরকার বিগত নির্বাচনে জাতিকে ডিজিটাল বাংলা গড়ার ঘোষণা দিয়েছিল।
২০২৪ সালে একতরফা প্রহসনের নির্বাচনে স্মার্ট বাংলা গড়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু ডিজিটাল বাংলা ও স্মার্ট বাংলার নমুনা হলো দেশব্যাপী ভয়াবহ গ্যাস সংকট, জ্বালানি সংকট?
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি এবং নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার নাম স্মার্ট বাংলা? যদি এগুলোর নাম হয় স্মার্ট বাংলা, এমন বাংলা জনগণ চায় না। এদেশের মানুষ চায় ভোটাধিকার ফিরে পেতে, মানুষ চায় খেয়ে পরে ভালো থাকতে, নাগরিক সব অধিকার ফিরে পেতে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে পুরানা পল্টন কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলের প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, হারুন অর রশিদসহ ছাত্র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আমদানি নির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থার কারণে দেশ গভীর সংকটে নিপতিত। দেশের জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করে তোলা হয়েছে সরকারের কিছু সিন্ডিকেট ও লুটেরাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য। নিজেদের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনের কার্যক্রম বন্ধ রেখে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্যই আমদানি নির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। আমদানিনির্ভর জ্বালানি দ্বারা জনগণের দুঃখ-দুর্ভোগ লাঘব সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ রেখে সরকার বাংলাদেশকে প্রস্তরযুগে ঠেলে দিচ্ছে। কলকারখানাসহ বাসাবাড়ির রান্নার গ্যাসও সরকার এখন সরবরাহ করতে পারছে না। এই সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে। এভাবে দেশকে ভয়াবহ সংকটে নিপতিত করেছে সরকার।
হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া জবাবদিহি নিশ্চিত এবং কোনো সংকট সমাধান সম্ভব হয় না। বর্তমান বাংলাদেশের সব সমস্যা সমাধানে বর্তমান অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই।
বিতর্কিত শিক্ষাকারিকুলাম পরিবর্তন ও ট্রান্সজেন্ডারকে প্রমোট করার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার বাদ জুমা ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ সফলের আহ্বান জানিয়ে মহাসচিব বলেন, ট্রান্সজেন্ডারের নামে সমকামিতাকে আমদানি ও প্রমোটকারী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে এ পথ থেকে ফিরে আসতে হবে। মানুষকে পশু বানানোর এখতিয়ার তাদের নেই। তারা পশ্চিমা সংস্কৃতি আমদানির নামে ইসলামী ও ইসলামী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মুসলমানরা এ ধরনের পশু তৈরির কাজ মেনে নেবে না।
এমএইচ