tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:৩৫ পিএম

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প : মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ হাজার


4

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩০ হাজার। এখনও অনুসন্ধান অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তবে সময়ের সাথে সাথে দুর্যোগকবলিত এলাকায় বাড়ছে সহিংসতা।


শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক অজ্ঞাত গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষের কারণে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন জার্মান উদ্ধারকারী দল এবং অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনী।

একজন উদ্ধারকারী জানান, ‘খাদ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিরাপত্তা আরও খারাপ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিয়েরে কুগেলওয়েস বলেছেন, ‘তুরস্কে দলগুলোর মধ্যে আগ্রাসন বাড়ছে। একটি জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা নিরাপত্তা ঝুঁকির সঙ্গে কোনো যুক্তিসঙ্গত সম্পর্ক বহন করে না।’

সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ গ্রুপ আইএসএআরের স্টেফান হাইন জানান, বিভিন্ন দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং গুলিও চালানো হয়েছে।

এ সময় হাতেয় প্রদেশে অজ্ঞাত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে অস্ট্রিয়ান ফোর্সেস ডিজাস্টার রিলিফ ইউনিটের কর্মীরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে একটি বেস ক্যাম্পে আশ্রয় চেয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় লুটপাটের অভিযোগে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি বন্দুক জব্দ করা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, কেউ আইন ভঙ্গ করলে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করবেন তিনি।

অস্ট্রিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তুর্কি সেনাবাহিনী সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করার অনুমতি দিয়েছে তারা।

তুর্কি কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিরাপদ হলে জার্মান উদ্ধারকারীরা আবার কাজ শুরু করবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

এদিকে ভূমিকম্পের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় জীবিতদের উদ্ধারের আশা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।

১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে দেশটির ডুজসে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।

এন