সীমান্তে ২ বাংলাদেশির হতাহত প্রমাণ করে স্বাধীনতা চরম সংকটে: মির্জা ফখরুল
Share on:
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে দুই বাংলাদেশির হতাহতের ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল।
মঙ্গলবার নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নামের এক বাংলাদেশি নিহত হন। অপরদিকে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামের (১৯) এক বাংলাদেশি তরুণকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
দুই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আজ বুধবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, আরেকজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে । মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণবিনাশী রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয়বিদারক ও আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা ও আরেকজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনো নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দূরে থাক, টুঁ শব্দটিও পর্যন্ত তারা করেননি। বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এসব রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছেন। ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করেন না।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, শুধু সীমান্তে মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না তাঁবেদার সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন।
তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সবকিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ একবিন্দু ছাড় দেবে না। তাই দলমত–নির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।
এনএইচ