দেশ প্রাথমিকভাবে স্বৈরাচারমুক্ত হলেও যুদ্ধ কিন্তু শেষ হয়নি : ড. রেজাউল করিম
Share on:
দেশ প্রাথমিকভাবে স্বৈরাচারমুক্ত হলেও যুদ্ধ কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারবিভাগসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা ঘাপটি মেরে রয়েছে। তারা যেকোনো সময় দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারে উচিত তাদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) লক্ষ্মীপুর আলীয়া মাদরাসা মাঠে পৌরসভার উত্তরাঞ্চলের ওয়ার্ডগুলোর কর্মীসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
লক্ষ্মীপুর শহর আমির অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাছির উদ্দিন মাহমুদ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, জেলা শূরা সদস্য অধ্যাপক আ হ ম মোস্তাকুর রহমান ও লক্ষ্মীপুর আলীয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মো: আবদুল্লাহ।
উপস্থিত ছিলেন- লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল আলম মিরন, শহর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা শামছুল হুদা ও মো: নাছির উদ্দিন, পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আমির শহীদুল্লাহ সুমন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আমির তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মাস্টার তারেক আলম, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আমির মাওলানা মো: ইউসুফ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আমির মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, বীর শহীদানের রক্ত লক্ষ্মীপুরের পবিত্র জমিনকে ইসলামী আন্দোলনের জন্য উর্বর ও গতিশীল করে তুলেছে। দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন ডা. ফয়েজ। ফ্যাসিবাদ ও মাফিয়াতান্ত্রিক আওয়ামী বাকশালকে বিদায় দিতে আরো অনেককেই প্রাণ দিতে হয়েছে এই রক্তাক্ত জমিনে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও প্রাণ দিয়েছেন আমাদের নবীন প্রজন্ম। আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে তাড়াতেই কমপক্ষে ১৫ জনকে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছে। ফলে দেশ ও জাতি এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে। তাই অর্জিত বিজয়কে টেকসই ও ফলপ্রসূ করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি