মুরাদের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
Share on:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে । ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে । ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।
পাশাপাশি সাইবার মামলা নেওয়ার আবেদনও জানান ঢাবির ওই শিক্ষার্থী।
আজ মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই আবেদন জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থী।
সংবাদ মাধ্যমকে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি’র রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।
তিনি বলেন, ঢাবির শিক্ষার্থীর অভিযোগ আমরা গ্রহণ করেছি। সেটি আপাতত জিডি আকারে নেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশের সাইবার বিভাগের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হবে।
সম্প্রতি যৌন হয়রানিমূলক, বিকৃত, বর্ণবাদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।
পাশাপাশি নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে অশ্লীল আহ্বানের কল রেকর্ড ফাঁসের পর চারদিকে যখন সমালোচনার ঝড় উঠে।
গতকাল সোমবার ( ৬ ডিসেম্বর) তাকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার ( ৭ ডিসেম্বর) বহু নাটকীয়তা শেষে সচিবালয়ে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র জমা দেন ডা. মুরাদ।
সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ। এরপর তার সমালোচনা করেন অনেকে। এছাড়া তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে।
এছাড়া ডা. মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মধ্যকার কথোপকথনের যে কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে তা ইতোমধ্যে টক অব কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
অডিও ক্লিপটিতে শোনা যায়, এই নায়িকাকে অশ্লীল ইঙ্গিত দিয়ে ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে তাৎক্ষণিক তার কাছে যেতে বলছেন ডা. মুরাদ।
নায়িকা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও গুলি করার হুমকি দিচ্ছেন তিনি। এছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে ধরিয়ে হয়রানীর হুমকিও দেন এই প্রতিমন্ত্রী।
মূলত ওই কল করা হয়েছিল চিত্রনায়ক ইমনের ফোনে। ওই মুহূর্তে একটি সিনেমার বিষয়ে মিটিং করছিলেন ইমন ও সেই নায়িকা। সঙ্গে ছিলেন পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমনও।
ফোনকল রেকর্ড নিয়ে যখন তোলপাড়, তখন স্বাভাবিকভাবেই ইমনের নামটিও উঠে আসছে আলোচনায়। তবে ওই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীকে কেবল সামাল দিতে চেয়েছিলেন বলেই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন ইমন।
এরপরই আজ মঙ্গলবার ডিবি কার্যালয় ও র্যাব সদরদপ্তরে ডাকা হয় চিত্রনায়ক ইমনকে।
এইচএন