হিজবুল্লাহর পাল্টা হামলায় পিছু হটল ইসরাইলি বাহিনী
Share on:
দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ সদস্যদের পাল্টা হামলায় পিছু হয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার রাতে ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের ওদাইসে শহরে অগ্রসর হওয়ার সময় পাল্ট হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। এতে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি মেনে নিয়ে ইসরাইলি বাহিনী পিছু হটে বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরাইলি সৈন্যদের ওপর তারা একটি 'বিকট বিস্ফোরণ' ঘটায়। এতে করে ব্যাপক হতাহত ঘটে তাদের মধ্যে। ফলে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
তারা জানায়, এরপর ইসরাইলি বাহিনী আবার এগুনোর চেষ্টা করে। ফলে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
ওই ঘটনার কোনো মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। ইসরাইল এখন পর্যন্ত হামলার খবর নিশ্চিত করেনি।
পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবির তুলকারমে ইসরাইলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বলেছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে এক বিমান হামলার স্থানীয় একজন হামাস নেতা নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোর এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রামাল্লা থেকে এএফপি জানায়, ২০০০ সালের পর পশ্চিম তীরের বিমান হামলাটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে বলেছে,‘তুলকারম ক্যাম্পে দখলদারদের বোমা হামলায় ১৮ জন শহিদ হয়েছেন।’
সেনাবাহিনীর একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় শহরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে এটিকে শিন বেট অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবা ও বিমান বাহিনীর যৌথ অভিযান বলে বর্ণনা করেছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী পরে বলেছে, হামলায় তুলকারমে হামাস নেতা জাহি ইয়াসের আবদ আল-রাজেক ওউফি নিহত হয়েছে।
সেনাবাহিনী ওউফিকে পশ্চিম তীরে অসংখ্য হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ করেছে এবং আরেকটি হামলার পরিকল্পনা করার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত ছিল বলে দাবি করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়,‘ওইফির পাশাপাশি, তুলকারমে হামলাকারী নেটওয়ার্কের অংশ ছিল এমন একাধিক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।’ হামাস বিমান হামলার নিন্দা করেছে এবং একে ‘নিষ্ঠুর হামলা’ বলে অভিহিত করে বলেছে, এটি একটি ‘বিপজ্জনক মাত্রায় উসকানি’ হিসেবে প্রমাণিত হবে।
টেলিফোনে যোগাযোগ করে ক্যাম্পের কর্মকর্তা ফয়সাল সালামা এএফপিকে বলেন, একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানে হামলাটি পরিচালিত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের পাশাপাশি পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে। হামাসের ওই হামলার পর থেকে, ইসরাইলি সেনা বা বসতিস্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ৭০১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক গত মাসে বলেছেন, পশ্চিম তীরে ইসরাইলি অভিযান কখনো কখনো এমন মাত্রায় ঘটেছে যা গত দুই দশকে আর দেখা যায়নি।
সূত্র : আল জাজিরা ও এএফপি
এনএইচ