tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৩ অগাস্ট ২০২৪, ১০:১৭ এএম

গুলি করে মানুষ হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসের চরম ন্যাক্কারজনক একটি অধ্যায় : বুলবুল


Photo (1)

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ছাত্রদের আন্দোলনে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করা পৃথিবীর ইতিহাসের চরম ন্যাক্কারজনক একটি অধ্যায়।


তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার দুর্বার গণ আন্দোলনে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদি অপশক্তির কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে যারা নরপিশাচের মত ছাত্র জনতার হাজার হাজার লাশ ফেলেছে জাতি তাদের কখনোই ক্ষমা করবে না। এসব হত্যাকারীদের অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে বিচার করা হবে। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ও প্রশাসন নির্দয়ভাবে অগণিত মানুষকে হত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর গেন্ডারিয়ার সাইদ খোকন কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন, দোয়া ও আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ক্ষমতার শেষ দিনেও এই ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের আঠারো কোটি মানুষকেই হত্যা করতে চেয়েছিলো। ছাত্র জনতার প্রতিরোধে আওয়ামী সরকার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদদের পরিবারের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন করার জন্য আপনাদের প্রিয়জন শহীদ হয়েছেন। শাহাদাত বরণকারী এসব ছাত্র জনতা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সরকারকেই সকল শহীদের পরিবারের ভরণপোষনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাদের রক্তের ওপরে আজকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেসব শহীদ পরিবারের সার্বিক প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসতে হবে। যারা আহত হয়েছে এবং যারা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কতজন শহীদ করা হয়েছে? কতজন পঙ্গু হয়েছে? অন্ধ হয়েছে কতজন তার সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করতে হবে। তাদের সকলকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন করতে হবে।

এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যদের স্মৃতিচারণে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় ও কান্নার রোল পড়ে যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মুহা. দেলাওয়ার হোসেন ও মুহাম্মদ কামাল হোসাইন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামরুল আহসান হাসান, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারি মো. হেলাল উদ্দিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মো. সাফওয়ান, জামায়াত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মুহতাসিম বিল্লাহ, রুহুল আমীন, গেন্ডারিয়া উত্তর থানা আমীর গোলাম আজম, গেন্ডারিয়া দক্ষিণ থানা আমীর তাওহীদুল ইসলাম মুকুল, ওয়ারী পশ্চিম থানা আমীর মাহফুজুর রহমান, সূত্রাপুর উত্তর থানা আমীর রবিউল ইসলাম, সূত্রাপুর দক্ষিণ থানা আমীর দাইয়ান সালেহীন প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি