tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৩০ পিএম

জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে জামায়াত গণমানুষের প্রিয় ঠিকানা : নূরুল ইসলাম বুলবুল


Photo Press N Bulbul (JDCS 9 Sep 2024) (1)

জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে জামায়াত গণমানুষের প্রিয় ঠিকানা বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।


সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বন্যা কবলিত নোয়াখালীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী সহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বলেছেন, নোয়াখালীতে বন্যা কবলিত এলাকায় আজকের পথসভায় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমান করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশের গণমানুষের রাজনৈতিক দল। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ গত ১৫ বছরে তাদের দেশি-বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে এদেশ থেকে জামায়াতে ইসলামীকে মুছে ফেলতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে গেছে। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছিল। মিথ্যা সাঁজানো মামলায় জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ ১১জনকে হত্যা করেছে। লাখ-লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর বাড়ি ছাড়া করেছে। সবশেষ এই জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ভিন্নভাবে প্রবাহিত করতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু শত বাঁধা, জুলুম মাড়িয়ে জামায়াত এদেশের জনগণের হৃদয়ে টিকে ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতা স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের সাথে কখনো আপস করেনি, এমনকি আমরা দেশ ছেড়েও পালিয়ে যায়নি। অথচ পতন হতে না হতেই আওয়ামী লীগ পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ব্যর্থ করার সকল রকম অপচেষ্টা করেও এই জুলুমবাজ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পার পাইনি। জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা ও নিবন্ধন বাতিল প্রসঙ্গে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সেনাপ্রধান অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে সেনানিবাসে আমন্ত্রণ জানিয়ে সেখানেই আমীর সহ বঙ্গভবনে যাওয়ার মধ্য দিয়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কবর রচনা হয়ে গেছে। পরবর্তীতে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তও বাতিল ঘোষণা করেছে। জামায়াতে ইসলামীর ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতিকও শীঘ্রই ফিরে পাবো ইনশাআল্লাহ।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াত কর্মী মানেই সমাজকর্মী। জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা দলমত, ধর্ম-বর্ণ, জাতিগোষ্ঠী নির্বিশেষে জনগণের জানমাল রক্ষায় সবসময় নিয়োজিত ছিল, আছে এবং থাকবে। দেশে এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের মাধ্যমে প্রতি বিল্পবের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এই অপচেষ্টাকে ছাত্র-জনতা নস্যাৎ করে দিবে। সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, পরাজিত শক্তির দোসররা শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, এদেরকে দ্রুত দায়িত্বের চেয়ার থেকে সরাতে হবে। স্থানীয়ভাবে দলীয় নেতাকর্মীসহ ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের দিকেও নজর রাখার আহ্বান।

ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও জনসাধারণের ঢল নামে মাইজদী পৌর বাজার সংলগ্ন সড়কে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায়-কানায় ভরে যায় সড়কের আশপাশের খালি স্থান। সকালে মাইজদী পৌর বাজার সংলগ্ন সড়কে পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

নোয়াখালী শহর আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে ও মাওলানা মোহাম্মদ মায়াজের পরিচালনায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য ড. মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মু. দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

সভা শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক শত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী সহ বিভিন্ন উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তি//এমএইচ