৫ আগস্ট বিপ্লবে শাহাদাত বরণকারী শ্রমিকদের জাতীয় বীর হিসাবে ঘোষণা দিতে হবে: মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
Share on:
দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইলে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে সরকার ও মালিক পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
আজ বিকাল ৩টায় রাজধানীর গাবতলী বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বালুরমাঠে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
এসব কথা বলেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, শ্রমিক সমাজই জাতীয় উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। শ্রমিকদের ওপর দেশের মান-মর্যাদা-সম্মান ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে। কিন্তু আমাদের দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক সমাজ অধিকার বঞ্চিত। তাদেরকে ন্যায্য অধিকার দেওয়া হয় না। আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে শ্রমিকরা ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখলেও তারা এখনো অবহেলিতই রয়ে গেছেন। মূলত, দেশে ইসলামী শ্রমনীতি না থাকায় দেশের শ্রমিক সমাজ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই শ্রমিক সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর কোন বিকল্প নেই। তিনি দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে শ্রমিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, দেশের শ্রমিক সমাজ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। মালিক পক্ষ শ্রমিকদের যথাযথ মর্যাদা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে একটা প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর অন্য কিছু হলে শ্রমিকদের মধ্যে রীতিমত ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মালিক- শ্রমিক পরস্পর সহানুভূতিশীল না হলে তা উন্নয়ন-অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি করে। রাসূল (সা.) শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে বলেছেন। তাই বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে চাইলে শ্রমিকদেরকে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করতে হবে।
মহানগরী উত্তর আমীর বলেন, আওয়ামী-বাকশালীরা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিনষ্ট করেছে। তাদের বিগত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেশকে অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। রাজনীতিকে পরিণত করা হয়েছে ব্যবসায়িক পণ্যে। জনগণ তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শ্রমিক সমাজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ফ্যাসীবাদীদের বিদায় করতে দেশের শ্রমিক সমাজ ঐতিহাসিক পালন করেছে। অনেকেই শাহাদাত বরণ করেছেন। তিনি ৫ আগস্ট বিপ্লবের শাহাদাত বরণকারী শ্রমিকদের জাতীয় বীর হিসাবে ঘোষণার জোর দাবি জানান এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের পূনর্বাসনের আহবান জানান।
মহানগরী সভাপতি মাওলানা মুহিব্বুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম আতিকুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক নূরুল আমীন, গাজীপুর মহানগরী সভাপতি ফারদিন হাসান হাসিব, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহ-সভাপতি মিজানুল হক, গাজী মাহবুবুল আলম ও হাসান ঈমাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান পান্না, হোসাইন আহমদ, ও সাইফুল ইসলাম, গার্মেন্টস সেক্টর সভাপতি আব্দুল আলী বাশার ও পরিবহন সেক্টর সভাপতি কামাল উদ্দীন রায়হান ও শ্রমিক নেতা শাহাদাত হোসেন প্রমূখ।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি