সার ও মসুর ডাল দিয়ে কেনাকাটা শুরু অন্তর্বর্তী সরকারের
Share on:
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ও স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৯০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৫৯ কোটি ৮১ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কেনাকাটা শুরু হয়েছে। আজকের বৈঠকে অন্তত আট জন উপদেষ্টাকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
এটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম বৈঠক। বৈঠকে ৪টি প্রস্তাব উপস্থাপিত ও আলোচিত হয়। এরমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব রয়েছে। বৈঠকে চারটি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সারের সরবরাহ আমরা কোনোভাবেই কমতে দেব না। আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে মসুর ডাল গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা কিনবো। আজকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সার ক্রয় ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মসুর ডাল ক্রয়। আমরা অনুমোদন দিয়েছি। এর জন্য যা অর্থকড়ি লাগে সেটা ফরেন কারেন্সিতে হোক, আমরা দেব। এটা দ্রুতই করতে হবে।
বৈঠকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কাতার থেকে ১১তম লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি টন ৩৪৪ দশমিক ৫০ ডলার হিসেবে ওই সার কিনতে মোট ১২১ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে বাংলাদেশের বহুজাতিক সার কারখানা কাফকো থেকে কেনা হচ্ছে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার। প্রতি টন ৩৩২.৭৫ ডলার দরে মোট খরচ হবে ১১৭ কোটি ৭৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
তৃতীয় প্রস্তাবে কাতারের মুনতাজাত থেকে কেনা হচ্ছে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার। প্রতি টন ৩৩৯.১৭ ডলার হিসেবে এতে মোট খরচ হচ্ছে ১২০ কোটি ৬ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে ৫০ কেজির বস্তার ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হচ্ছে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে। এতে খরচ হবে ২০৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
এমএইচ