tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২৭ জানুয়ারী ২০২৪, ১২:১৫ পিএম

জাতিসংঘ আদালতের রায়ের পর নতুন ভিডিও প্রকাশ হামাসের


three-hostages-20240127112837

জাতিসংঘের আদালতের (বিশ্ব আদালত) রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। ভিডিওটিতে তিন নারী জিম্মিকে কথা বলতে দেখা গেছে।


শুক্রবার প্রকাশিত সেই ভিডিওটির দৈর্ঘ্য ৫ মিনিটে। ভিডিওর নারীদের তিনজনই বয়সে তরুণী এবং তাদের মধ্যে দুই জন সেনা সদস্য এবং বাকি একজন সিভিলিয়ান। তরুণীরা জানিয়েছেন, গত ১০৭ দিন ধরে বন্দি রয়েছেন তারা।

ভিডিও ফুটেজে ওই তিন তরুণীর কেউই নিজেদের নাম-ঠিকানা বলেননি। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে এএফপি তাদের নাম-পরিচয় জেনেছে, তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে এই বার্তা সংস্থাটিও তা প্রকাশ করেনি।

শুক্রবারের রায়ে বিশ্ব আদালত গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার পাশাপাশি উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন। রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভিডিওটি প্রকাশ করে হামাস। ধারণা করা হচ্ছে, গত রোববার সেটি ধারণ করা হয়েছিল।

কবে নাগাদ তাদের মুক্তি দেওয়া হবে, এ সংক্রান্ত কোনো ইঙ্গিত ভিডিওটিতে পাওয়া যায়নি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জন ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে সেদিন প্রথম একদিনে এতজন মানুষের হত্যা দেখেছে ইসরায়েল। অভূতপূর্ব সেই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এবং তার এক সপ্তাহ পর বিমান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার বোমাবর্ষণে গত প্রায় সাড়ে চার মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ২৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার এবং ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে ধসে যাওয়া বিভিন্ন ভবনের ধ্বংস্তূপের নীচে এখন ও চাপা পড়ে আছেন অন্তত কয়েক হাজার মানুষ।

গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘোষিত এক মানবিক বিরতির সাত দিনে মোট ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বাকি ১৩২ জন এখনও তাদের হাতে আটক রয়েছেন।

এই ১৩২ জন জিম্মির মধ্যে ভিডিওর তিন নারীও রয়েছেন।

সূত্র : এএফপি

এনএইচ