অবন্তিকার আত্মহত্যা : সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী রিমান্ডে
Share on:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর দুই দিন এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে তোলা হয়। এ সময় সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর পাঁচ দিন এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আম্মানের দুই দিন এবং সহকারী প্রক্টরের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নূরু উর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে একটি সাদা প্রাইভেটকারে করে তাদেরকে আদালতে হাজির করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এরপর মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় তাদেরকে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমানের কক্ষে রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকী নামের এক সহপাঠীকে দায়ী করে গলায় ফাঁস নেন জবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার (১৬ মার্চ) ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল ৩টার দিকে প্রথম জানাজা ও পৌনে ৪টার দিকে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয় অবন্তিকাকে।
নিহত অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকার মৃত জামাল উদ্দিনের মেয়ে। তার বাবা কুমিল্লা সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার মা তাহমিনা শবনম কুমিল্লা পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল তার বাবা অধ্যাপক জামাল উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। অবন্তিকার একটি ছোট ভাই রয়েছে। সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এ ঘটনায় অবন্তিকার মা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন।
এনএইচ