tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৯ এএম

দিল্লিতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেল আফগান দূতাবাস


তালেবান.jpg

আফগানিস্তান নয়াদিল্লিতে তাদের দূতাবাস স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। কারণ হিসেবে ‘ভারত সরকারের ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ’কে দায়ী করেছে দেশটি।


চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আফগান দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে ভারতে আফগান শরণার্থী, ছাত্র এবং ব্যবসায়ীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

ভারত সরকারের ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের কারণে এটি ঘটেছে। তাই আফগানিস্তান নয়াদিল্লিতে তার দূতাবাস স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা করেছে।

আফগান দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা উঠে আসে।

বিবৃতিতে বলেছে ‘নয়া দিল্লিতে ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তানের দূতাবাস ভারত সরকারের অব্যাহত চ্যালেঞ্জের কারণে ২৩ নভেম্বর ২০২৩ থেকে নয়াদিল্লিতে তার কূটনৈতিক মিশন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে।

দূতাবাস বলেছে যে, আট সপ্তাহ অপেক্ষা করেও, কূটনীতিকদের জন্য ভিসার মেয়াদ বাড়ানো এবং ভারত সরকারের আচরণে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যগুলো অর্জন করা যায়নি।

পাশাপাশি বলে হয়েছে তালেবান এবং ভারত সরকার উভয়ই দূতাবাসের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রাখার কারণে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল দূতাবাসকে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘২০০১ সাল থেকে ভারত পূর্ববর্তী আফগান প্রজাতন্ত্রের একটি অবিচল কৌশলগত অংশীদার ছিল। রাজনৈতিক কারণে প্রত্যেকেরই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।

ভূ-রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলে কঠিন সময়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। তাই আমাদের মতে, আফগানিস্তানের সর্বোত্তম স্বার্থে, এই পর্যায়ে ভারতে দূতাবাস বন্ধ করে, দূতাবাসের কর্তৃত্ব তাদের হাতে তুলে দেওয়াই উচিত।’

গত দুই বছর তিন মাসে ভারতে আফগান শরণার্থী সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য পতন ঘটেছে। শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা দেশ ছাড়ছেন।

আগস্ট ২০২১ থেকে এই সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। দূতাবাস জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে খুব সীমিত নতুন ভিসা দেওয়া হয়েছে।

নয়াদিল্লিতে আফগান দূতাবাসটি ক্ষমতাচ্যুত আফগান রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানির পূর্ববর্তী সরকারের নিযুক্ত কর্মীদের সহায়তায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরিচালিত হয়েছিল।

এর পরে ভারত ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলকারী তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।

৩০ সেপ্টেম্বর দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সময় তারা জানিয়েছিল, অর্থাভাবেই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে দূতাবাসের কাজক

এসএম