তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহের আওতা বাড়তে পারে
Share on:
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেশের বেশিরভাগ স্থানে কমে গেছে। এতে বেড়েছে শৈত্যপ্রবাহের আওতা।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে রাতের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এতে শৈত্যপ্রবাহ আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এটিই চলতি মৌসুমের সবচেয়ে কম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তবে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে হাতিয়ায়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে।
বৃহস্পতিবারও নওগাঁ জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন নাজমুল হক।
শনিবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রোববার সারাদেশে রাতের সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদরা আরও জানিয়েছেন, পরবর্তী পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে।
এনএইচ