ভোট চুরির সঙ্গে জড়িতদের তালিকা করতে হবে : আমীর খসরু
Share on:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা, দুর্নীতিবাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন, দলীয় বিচারক সবাই মিলে রেজিম তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ অবস্থান নিয়েছে।
ওই রেজিম একদিকে আর বাংলাদেশের জনগণ আরেকদিকে। আমাদের এই সংগ্রাম আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই দুর্বৃত্ত যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে। আপনাদেরকে ভোট চোরদের তালিকা করতে হবে। প্রত্যেকটি এলাকায় কারা কারা ভোট চুরির সঙ্গে জড়িত তাদের তালিকা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের বাস স্টেশন এলাকায় তারুণ্যের রোডমার্চ শুরুর আগে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আপনাদেরকে আরও একটা সুখবর দেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে পর্যবেক্ষণের জন্য একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল নির্বাচনকে সামনে রেখে। সেই প্রতিনিধি দল তাদের রিপোর্ট গতকাল পেশ করেছে। প্রতিবেদনে বলেছে বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। ২৭টি দেশ। ওই যে ম্যাক্রোঁ আসছিল ফ্রান্সের। তারে নিয়ে লাফালাফি দেখেননি। ২৭টি দেশের মধ্যে ফ্রান্সও একটা। লাফালাফিটাই বললাম বাকিগুলো বললাম না। লজ্জার ব্যাপার। এগুলো কোনো রাষ্ট্র প্রধান করতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্রের কথা আমার বলার প্রয়োজন নেই। ভিসানীতিতে বিচারকদেরও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের যে সামিট সম্মেলন সেখানে ১১০টি দেশকে দাওয়াত দিয়েছে। বাংলাদেশকে দাওয়াত দেয়নি। আরও হয়তোবা কিছু আসতেছে। আর থাকলো কে? বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক দেশ তাদের সাথে নেই। কোনো গণতান্ত্রিক সংস্থা তাদের সাথে নেই। পুরো বিশ্ব বিবেক তাদের বিরুদ্ধে আজকে।
সমাবেশে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হাসান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, ওয়ারেস আলী মামুন, নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়লা বেগম, শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভৈরব পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ভৈরব থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠ সংলগ্ন সড়কে গিয়ে শেষ হবে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার হয়ে সিলেটে গিয়ে শেষ হবে। এই রোডমার্চ পাঁচটি জেলাকে ছুঁয়ে যাবে। তাই প্রতিটি জেলায় একটি করে সমাবেশ হবে।
এই রোডমার্চে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে অংশ নেন।
এমবি