ব্রাজিলে ভয়াবহ দাঙ্গা, গ্রেফতার ২০০
Share on:
ল্যাটিন আমেরিকান দেশ ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কট্টরপন্থি নেতা জাইর বলসোনারোর সমর্থকরা এই হামলা করেন।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
দেশটির বিচারমন্ত্রী ফ্লাভিও ডিনো জানিয়েছেন, দাঙ্গার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে প্রেসিডেন্ট ভবন, কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকার।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এরই মধ্যে এসব স্থান থেকে বলসোনারোর সমর্থকদের সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
এক বিবৃতিতে ডিনো জানান, এটি সন্ত্রাসবাদ, এটি একটি অভ্যুত্থান। আমরা নিশ্চিত জনসংখ্যার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এই অন্ধকার বাস্তবায়ন করতে চায় না। এ সময় তিনি ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ।
এর আগে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে হামলা চালায় সাবেক প্রেসিডেন্টের সমর্থকেরা। সংঘবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন আক্রমণ করেন তারা। এ সময় ঘিরে ফেলা হয় ব্রাজিলের কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্টও।
এই ঘটনা স্মৃতি ফেরালো দুই বছর আগে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন ক্যাপিটাল হিলে হামলার কথা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা চালিয়েছিলে এই হামলা।
গত বছর কট্টর ডানপন্থি বোলসোনারোকে হারিয়ে ব্রাজিলে ক্ষমতায় আসেন বামপন্থি লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা।
লুলা দেশের প্রশাসনিক কাঠামোয় এই হামালার জন্য দায়ী করেন আগের প্রেসিডেন্টকে। অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজধানী ব্রাসিলিয়ার নিরাপত্তা নিয়েও।
হামলার নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট লুলা বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সমর্থকরা এমন কিছু করল, যা এ দেশের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি। যারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের আমরা খুঁজে বের করব এবং আইনের মাধ্যমে তাদের বিচার করা হবে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) ব্রাসিলিয়ায় যখন এই হামলা হয় তখন লুলা সেখানে ছিলেন না। রাজধানী থেকে দূরে কর্মসূত্রে সাও পাওলো গিয়েছিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্রাজিলের হলুদ, সবুজ পতাকা নিয়ে এগোচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকে। কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ঢুকে যাচ্ছেন ভবনের ভেতর।প্রেসিডেন্ট ভবনের ছাদে জড়ো হয়েছেন ব্যাপক মানুষ।
অক্টোবরে নির্বাচনে হারার পর থেকে বোলসোনারোর সমর্থক ও অনুসারীরা দেশটির নানা প্রান্তে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। এদিন তা চরম আকার ধারণ করে।
এখন পর্যন্ত নিজের হার স্বীকার করেননি সাবেক প্রেসিডেন্ট বোলোসোনারো । বরং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আয়োজিত নির্বাচনে পরাজয়কে চিহ্নিত করেছেন ভোট গণনায় কারচুপি হিসেবে ।
অক্টোবরে পরাজয়ের পরেই দেশ ছাড়েন বোলসোনারো। বর্তমানে তিনি থাকেন ফ্লোরিডায়, যেখানে রয়েছেন ট্রাম্পও।
এন