tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ২০:০৫ পিএম

আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে


635

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন যতই এগিয়ে আসছে, দলটির সাধারণ সম্পাদক কে হবেন- এই আলোচনা ততই লোকমুখে প্রচারিত হচ্ছে।


টানা দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি পুনরায় থাকতে পারবেন নাকি পদটিতে পরিবর্তন আসছে-এই আলোচনা এখন চলছে আওয়ামী লীগের ভেতরে ও সর্বত্র।

তবে আওয়ামী লীগের ইতিহাসে টানা তিন মেয়াদে কারো সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের রেকর্ড নেই।

অপরদিকে সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রতিপক্ষ বিএনপি এবার রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে চ্যালেঞ্জ করছে।

এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসতে পারে- এই ধারণা দলটিতে তীব্র হচ্ছে বলে মনে হয়েছে।

আর এই ধারণা থেকে দলটিতে সাধারণ সম্পাদক পদের আশায় বেশ কয়েকজন নেতা তৎপর হয়েছেন এবং তারা নিজেদের সাংগঠনিক দক্ষতা দলের হাইকমান্ডের কাছে দেখানোর চেষ্টা করছেন।

চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দলটির শীর্ষ পদে বা সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এখন টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে।

দলের শীর্ষ পদে অন্য কারো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নজির নেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করেন, এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবারও দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন- এটা এক প্রকার নিশ্চিত। ফলে দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়েই মূল আলোচনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের তালিকা :

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে এই পদে দায়িত্ব পান।

এখন দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আবার এই পদে দায়িত্ব পালনে আগ্রহী, এমন ধারণা দলের ভেতরেও রয়েছে।

২০১৯ সালে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের পাশাপাশি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নাম আলোচনায় ছিল।

এবারও ড. আব্দুর রাজ্জাকের নাম আলোচনায় এসেছে এবং তিনিও আগ্রহী বলে দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন।

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমানও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী হয়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়েছেন।

এদের বাইরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড: হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নামও আলোচনায় রয়েছে।

দলটির গঠনতন্ত্রে সাধারণ সম্পাদক পদে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হওয়ার কোনো বিধান নেই। ফলে কেউ নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেননি।

তবে আগ্রহীরা দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়েছেন। তাদের কেউ কেউ দলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানা যায়।

এমনকি তাদের অনেকে নিজে থেকেই উদ্যোগী হয়ে বিভিন্ন জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে দলের কোন্দল মেটাতে ভূমিকা রাখছেন।

মোটকথা আগ্রহীদের নিজের সাংগঠনিক তৎপরতা এবং দক্ষতা তাদের দলের নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেখানোর চেষ্টা রয়েছে বলে মনে হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক কে-এ ব্যাপারে অতীতে তাদের দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মেলনের কিছু দিন আগে ইঙ্গিত দিতে দেখা গেছে।

কিন্তু আগ্রহীরা অনেক আগে থেকেই তাদের সাংগঠনিক দক্ষতা দেখানোর চেষ্টা করতেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যদিও এবার এখনো দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে কোনো ইঙ্গিত আসেনি।

বিবেচনায় এবার কী থাকছে :

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এবার আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে যারা দায়িত্ব পাবেন, এই নেতৃত্বকে নির্বাচন এবং নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি সামলাতে হবে।

দলের নেতৃবৃন্দের অধিকাংশই মনে করেন, সংসদ নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, এবার বিরোধীদল বিএনপি মরিয়া হয়ে রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করবে এবং নির্বাচনে অংশ নেবে।

এ কারণে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামনের রাজনীতি আরও ঘটনাবহুল হতে পারে। সেই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আসবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের ক্ষেত্রে।

দীর্ঘ প্রায় একযুগের অধিককাল ক্ষমতায় থাকার কারণে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীন কোন্দল বৃদ্ধি পেয়েছে।

যদিও দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা শাখার ৫০টিতে সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব আনা সম্ভব হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ দাবি করেন। কিন্তু এসব জেলাতেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথ চাড়া দিয়েছে বলে দলের নেতারা স্বীকার করেন।

এছাড়া সহযোগীর সংগঠনগুলোর দূর্বলতা এবং অভ্যন্তরের কোন্দল নিয়েও আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে নিয়ন্ত্রণ বা ঐক্যবদ্ধ রাখা- এ বিষয়টি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবেচনার অগ্রাধিকারে থাকবে বলে দলটির নেতাদের অনেকে বলছেন।

বিশ্লেষক এবং লেখক মহিউদ্দিন আহমদও মনে করেন, এবার প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতাকর্মীরা সারাদেশেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেখানে আওয়ামী লীগকে তাদের ঘর গোছাতে হবে।

আহমদের বক্তব্য হচ্ছে, আওয়ামী লীগকেও একটা বড় দল হিসাবে মাঠে শক্তির পরিচয় দিতে হবে এবং নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে।

সেখানে সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ তা বিবেচনায় নেবে বলে মনে করেন আহমদ।

পশ্চিমাসহ বিভিন্ন দেশের নজর থাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে। বিদেশি কূটনীতিকরা নাক গলান এমন অভিযোগও রয়েছে। ফলে বড় একটি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে কে আসছেন, সেদিকেও বিদেশীদের থাকে নজর।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে আলোচনা এবং আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদককে দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে হয়। ফলে এই বিষয়টিও সাধারণ সম্পাদক পদের ক্ষেত্রে বড় বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের নেত্রী জিনাত সোহানা চৌধুরী বলেছেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সাহস, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা এবং ত্যাগী-এসব বিষয় বিবেচনা করে তাদের দলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে বলে মনে করেন তিনি।

সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের অবস্থান :

বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দুই ধরনেরই আলোচনা রয়েছে।

দলটির নেতাদের অনেকে মনে করেন, ওবায়দুল কাদের শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং তার বয়স হয়েছে। তিনি দীর্ঘ সময় দলের কোন কর্মসূচিতে অংশ নেননি।

এখন জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে কাদের একই পদে থাকার আগ্রহ থেকে দলীয় কিছু কর্মসূচিতে সরাসরি যোগ দিচ্ছেন।

জাতীয় নির্বাচনের সময় এবং ঘটনাবহুল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ওবায়দুল কাদের কতটা সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবেন- এই সন্দেহ রয়েছে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে। এছাড়া দলটিতে টানা তিন মেয়াদে কারও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের নজির নেই।

প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীসহ অনেকেই টানা দুই মেয়াদ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান চার মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তিনি পরপর দুই মেয়াদে ঐ পদে দায়িত্ব পালনের পর লম্বা সময় বিরতি দিয়ে আবার টানা দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ফলে টানা তিনবার কারও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের নজির নেই। সেই বিষয়টি এবং কাদেরের শারীরিক অবস্থার বিবেচনা থেকে আওয়ামী লীগের অনেকে মনে করছেন, সাধারণ সম্পাদক পদে এবার পরিবর্তন হতে পারে।

দলটিতে ভিন্ন আলোচনাও রয়েছে। অনেকে আবার মনে করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে নতুন কাউকে না এনে ওবায়দুল কাদেরকেই সাধারণ সম্পাদক রাখা হতে পারে।

সেক্ষেত্রে দলের তৃণমূল সম্পর্কে ধারণা এবং অতীতে জাতীয় রাজনৈতিক সঙ্কট সামলানোর ব্যাপারে কাদেরের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আসতে পারে।

তবে দলটিতে অনেকেই মনে করেন, দেশের ভেতরে সুশীল সমাজ এবং বিদেশীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা এবং স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তির বিষয় বিবেচনা করা হলে ড. আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য গুরুত্ব পেতে পারেন।

যদি সাংগঠনিক দক্ষতার বিষয় আসে, তাহলে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গুরুত্ব পাবেন।

ওবায়দুল কাদের, ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক এই তিনজনের নামই বেশি আলোচনায় রয়েছে। এর বাইরে আরও কয়েকজনের নাম আলোচনায় রয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমানকে গত সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না দিয়ে তাকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর দিতে বলা হয়েছিল। তিনিও আলোচনায় রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফেরও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে দক্ষতা রয়েছে।

এছাড়া দীপু মনি বা অন্য যাদের নাম আলোচনায় আছে বা আগ্রহের কথা শোনা যাচ্ছে, তারাও দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বেশ সক্রিয় হয়েছেন।

সিদ্ধান্ত হয় কিভাবে :

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, সম্মেলনে কাউন্সিলর হিসেবে যারা অংশ নেন, তারা দলীয় নেত্রীর ওপর সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পদে নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে থাকেন।

তখন কাউন্সিলরদের চিন্তাকে ধারণ করে দলের নেত্রী গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো নির্বাচন করে থাকেন।

তবে আওয়ামী লীগের অন্য একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সাধারণ সম্পাদক পদেও ভোটাভুটির নজির নেই।

আওয়ামী লীগ টানা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার সময় তিনবার দলের জাতীয় সম্মেলন হয়েছে। প্রতিবারই সমঝোতার ভিত্তিতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে।

দলটির একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের নিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের যে আলোচনা হয়, সেখানে প্রথমে দলের সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নাম একজন প্রস্তাব করেন এবং তাতে সমর্থন করেন আরেকজন।

এরপর সেই প্রস্তাবে কাউন্সিলররা সমর্থন দেন। দলের শীর্ষপদে নির্বাচন হওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক পদে একইভাবে নির্বাচন করা হয়।

তবে আগেই যেহেতু সমঝোতা হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী থাকে না, ফলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনেও কাউন্সিলে কোনো জটিলতা হয় না।

দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কয়েকটি পদে নির্বাচনের পর পুরো কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয় দলের শীর্ষ নেত্রীর ওপর। তিনি পরে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেন।

তিন বছর পর পর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন করার বিধান তাদের গঠনতন্ত্রে রয়েছে। সে অনুযায়ী এখন আগামী ডিসেম্বরে এই সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর তাদের দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করা হতে পারে। ডিসেম্বরে তৃতীয় সপ্তাহে সম্মেলন অনুষ্ঠানের চিন্তা তাদের মধ্যে রয়েছে।

দলের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, তাদের আওয়ামী লীগের সম্মেলন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়।

তবে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ সাধারণ সম্পাদকের জন্য আগ্রহীরা দৌড়ঝাঁপ করছেন এবং তারা তাকিয়ে রয়েছেন দলের হাইকমান্ডের দিকে। সূত্র : বিবিসি।

প্রসঙ্গত, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ' প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন টাঙ্গাইলের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক।

পরবর্তীকালে, ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়: 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ'।

এন