tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০৩ মার্চ ২০২৩, ২১:৩৬ পিএম

আগামী লোকসভা নির্বাচনে একা লড়বে তৃণমূল: মমতা


প

আগামী ২০২৪ সালেই লোকসভা নির্বাচন ভারতে, হাতে সময় আছে মাত্র ১৫ মাস; কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দিয়েছেন— সিপিএম-কংগ্রেস জোট নয়, লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে তার দল।


বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় নবান্নে এক সংবাদ সম্মেলনে মমতা বলেন, ‘তৃণমূল আর মানুষের জোট হবে। আমরা ওদের (সিপিএম এবং কংগ্রেস) কারও সঙ্গে যাব না। একা লড়ব মানুষের সমর্থন নিয়ে।’

রাজ্য বিধানসভার সাগরদিঘী আসনে দলের পরাজয়ের পর এই ঘোষণা দিলেন তৃণমূল সভানেত্রী। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি আসনটির উপনির্বাচনের বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন সিপিএম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস।

এই আসনটি একসময় তৃণমূলের ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের জেষ্ঠ্য নেতা সুব্রত সাহা ছিলেন এই আসনের বিধায়ক। রাজ্যসরকারের একজন মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে এবার সেই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সুব্রত সাহা ৯৫ হাজার ১৮৯টি ভোট পেয়েছিলেন, আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী শেখ মো. হাসানুজ্জামান পেয়েছিলেন ৩৬ হাজার ৩৪৪টি ভোট। মাত্র দুই বছরের মধ্যে এবার সেই আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ ব্যানার্জি ভোট পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৬৩১টি ভোট। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কংগ্রেস নেতা বায়রন বিশ্বাস ভোট পান ৮৭ হাজার ৬১১টি।

বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে অতীতে বহু বার বিরোধী জোট গড়তে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃতীয় বার ক্ষমতাদখলের পর থেকে নতুন করে বিজেপি বিরোধী ঐক্যে শান দিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন মমতা। কিন্তু সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। যত সময় এগিয়েছে, কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে দূরত্ব তত বেড়েছে।

গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রকাশ্যে হয় দু’পক্ষের লড়াই। সম্প্রতি মেঘালয়ে গিয়ে তৃণমূলের ‘ইতিহাস’ তুলে ধরে খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ফলে সংঘাতের সুর আরও চড়া হয়েছে।

বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেস এখনও সফল হতে পারেনি। তৃণমূলই বিজেপির একমাত্র বিকল্প বলে প্রচার করছে জোড়াফুল শিবির। তার জেরেই বিজেপি বিরোধী জোট ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে মমতার বক্তব্যের পর আপাতত এ নিয়ে আর কোনও জল্পনার অবকাশ রইল না।

এদিকে, মমতার এই ঘোষণার পর কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, মমতার এই ঘোষণা সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এমআই