tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অর্থনীতি প্রকাশনার সময়: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:২৪ পিএম

বাংলাদেশে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে চিঠি দিল মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা


garments-20231219144701

বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ও অধিকার নিয়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা। দেশটির কংগ্রেসের আট সদস্যের একটি দল আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ)-কে ন্যায্য মজুরি এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের শ্রম অধিকার রক্ষায় সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে চিঠি লিখেছেন।


সেখানে তারা সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণের জন্য এএএফএ-এর জোরালো সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

চিঠিতে এই আইনপ্রণেতারা লিখেছেন, ‘আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিকে জোরালোভাবে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ জানাতে এই চিঠি লিখছি আমরা।’

চিঠিটিতে বাংলাদেশের মজুরি বোর্ডের সাম্প্রতিক মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণার পরের কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি যে পরিমাণে মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে তা জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে অপর্যাপ্ত বলেও সমালোচনা করা হয়েছে এই চিঠিতে।

চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আপনি জানেন, বাংলাদেশের মজুরি বোর্ডের ঘোষিত সাম্প্রতিক মজুরির বৃদ্ধি, যা এমনকি জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ও মেটাতে পারে না, তা বর্ধিত গণ-বিক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের এবং ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এর ফলে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন, অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে অন্যায্যভাবে গ্রেপ্তার, আটক এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের মতো ঘটনাও ঘটেছে।’

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আটজন কংগ্রেসম্যানের দেওয়া এই চিঠিতে বাংলাদেশ সরকারকে ভয়ভীতি বা সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সম্মিলিত দর কষাকষির সুযোগের মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকারকে সম্মান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিশোধ, সহিংসতা বা ভয়ভীতি ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সংগঠিত প্রতিবাদ এবং সম্মিলিতভাবে দর কষাকষির সুযোগ দিয়ে শ্রমিকদের অধিকারকে সম্মান ও রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বাইডেনে প্রশাসনের যে আহ্বান রয়েছে তার সাথে আমরা একমত।’

মজুরি আলোচনার কারণে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতায় জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অসুবিধার কথা তুলে ধরে ওই চিঠিতে মার্কিন ব্র্যান্ডগুলোকে তাদের প্রভাব প্রয়োগ করতে এবং বাংলাদেশি পরিবারগুলোর জন্য আরও ভালো মজুরি ও অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ইলহান ওমর, প্রতিনিধি জিম ম্যাকগভর্ন, প্রতিনিধি জান শাকোস্কি, প্রতিনিধি রাউল গ্রিজালভা, বারবারা লি, আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ, ডেভিড ট্রোন এবং সুসান ওয়াইল্ড।

আটজন কংগ্রেসম্যানের পাঠানো এই চিঠিটি অ্যাকাডেমিকস স্ট্যান্ড এগেইনস্ট পোভার্টি, এশিয়ান প্যাসিফিক আমেরিকান লেবার অ্যালায়েন্স (এএফএল-সিআইও অ্যাফিলিয়েট), ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়ন, ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজ-গ্লোবাল ইকোনমি প্রজেক্ট, লেবার বিহাইন্ড দ্য লেবেল, অক্সফাম আমেরিকা এবং ওয়ার্কার্স ইউনাইটেড (এসইআইইউ অ্যাফিলিয়েট) সমর্থন করেছে।

এনএইচ