বাঁচামরার লড়াইয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৫৮ রান
Share on:
বাংলাদেশের বোলাররা শুরু থেকেই লাইন-লেন্থ বজায় রেখে বল করেছেন। লঙ্কান ব্যাটাররা অবশ্য অতিমাত্রায় সাবধানী হওয়ায় সেভাবে উইকেট পড়েনি।
তবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে বল করেই গেছে টাইগাররা। সাদিরা সামারাবিক্রমা একটা প্রান্ত ধরে রেখে শেষ বল পর্যন্ত খেলে গেছেন বলেই লড়াকু পুঁজি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে তারা তুলেছে ২৫৭ রান। অর্থাৎ এশিয়া কাপে টিকে থাকতে ২৫৮ করতে হবে বাংলাদেশকে।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করছিলেন তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম।
তাসকিনের প্রথম তিন-চারটি বল তো চোখেই দেখছিলেন না লঙ্কান ওপেনাররা। এলবিডব্লিউ আউটও হয়েছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। যদিও ডিআরএস নিয়ে বেঁচে যান তিনি।
ওই সময় আউট না হয়ে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়ে বসার চেষ্টা করেন লঙ্কান দুই ওপেনার। যে কারণে দেখা গেলো, ৫.৩ ওভার পর্যন্ত ৩৪ রানের জুটি গড়ে ফেলেন তারা।
কিন্তু হাসান মাহমুদ এসেই ব্রেক থ্রুটা এনে দেন। নিজের করা দ্বিতীয় ওভারেই দিমুথ করুনারত্নেকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি।
বলে দুর্দান্ত সুইং ছিল। ক্রিকইনফো লিখেছে, এমন বল নিয়ে দুঃস্বপ্নও দেখে থাকেন ব্যাটাররা। পায়ের ওপর বলটি পিচ করে অফস্ট্যাম্প দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলো। স্কয়ার লেগে খেলার চেষ্টা করেঝিলেন করুনারত্নে। কিন্তু বল ব্যাটের কিনারা চুমু দিয়ে গিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকের গ্লাভসে। ১৭ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন করুনারত্নে।
৩৪ রানের মাথায় প্রথম ব্রেুক থ্রু উপহার দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। এরপর উইকেটে বেশ ভালোভাবেই থিতু হয়ে যান পাথুম নিশাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস। নিঃসন্দেহে বর্তমান সময়ে শ্রীলঙ্কার দুই সেরা ব্যাটার তারা।
এই জুটি নিজেদের সেভাবেই প্রমাণ করতে শুরু করে। যদিও বাংলাদেশের ফিল্ডারদের মিস ফিল্ডিং তাদের ভালো করার পেছনে অনেকটাই অবদান রাখছিলো।
শেষ পর্যন্ত পাথুম নিশাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিসের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জুটিকে ভাঙতে সক্ষম হন পেসার শরিফুল ইসলাম। ২৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শরিফুলের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন পাথুম নিশাঙ্কা। ৬০ বল খেলে ৫ বাউন্ডারির সাহায্যে ৪০ রান করেন তিনি।
এরপর হাফ সেঞ্চুরি করা কুশল মেন্ডিসকেও তুলে নেন শরিফুল। ৭৩ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৫০ রান করার পর মেন্ডিসকে তাসকিন আহমেদের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন বাঁ-হাতি এই পেসার।
উইকেট শিকারে এরপর মেতেছেন তাসকিনও। চারিথ আসালাঙ্কা (১০) তাকে তুলে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল উঠে যায় আকাশে। মিডঅন থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচ নেন সাকিব।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকেও সেট হতে দেননি হাসান মাহমুদ। ১৬ বলে ৬ রান করে টাইগার পেসারের দ্বিতীয় শিকার হন লঙ্কান অলরাউন্ডার।১৬৪ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে সাদিরা সামারাবিক্রমা আর দাসুন শানাকা ৫৭ বলে ৬০ রান যোগ করে দেন। ৪৭তম ওভারে শানাকাকে (৩২ বলে ২৪) বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ।
এবি