এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতি চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৭
Share on:
রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনার মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মূলহোতা সাগর, আবু ইউসুফ, সবুজ মিয়া ও দিদার মুন্সীসহ আরও তিনজন। ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতি হলেও এখন পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। গতকাল শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপির সহকারী কমিশনা (মিডিয়া) নিউটন দাস এক বার্তায় এতথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ডাকাতির ঘটনায় আজ বেলা ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিস্তারিত জানাবেন।
গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় প্রাইম ডেন্টাল কলেজের সামনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর র্যাবের জ্যাকেট পরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরের দিন খিলক্ষেত থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি ডাকাতি মামলা করেন মাদার টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের মালিক সোহেল আহম্মেদ সুলতান। এরপর মামলাটির তদন্ত শুরু করে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি টিম।
মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, ওইদিন বিকেলে খিলক্ষেতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকে মাদার টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের দুই কর্মকর্তাকে র্যাবের জ্যাকেট পরা অপরাধীরা তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের কাছ থেকে ৪৮ লাখ টাকা এবং মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। মাদার টেক্সটাইল মিলসের হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা অনিমেশ চন্দ্র সাহা (৩২) টাকা উত্তোলনের জন্য দুপুর ২টার দিকে আমার বনানীর বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন ব্রাঞ্চ থেকে দুটি চেকের মাধ্যমে ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা তোলেন। ব্যাংকের মধ্যেই অনিমেশ ও কোম্পানির কর্মাশিয়াল জিএম শাহজাহান মিয়া ব্যবসায়ী অংশীদারকে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন। বাকি ৪৮ লাখ টাকাসহ তারা দুজন কোম্পানির প্রাইভেটকার চালক আবুল বাশারকে নিয়ে আমার বনানীর বাসায় আসার জন্য কাওলা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠেন। পরে পথিমধ্যে ডাকাতির কবলে পড়েন তারা।
এনএইচ