বিজয়ের পর অনেকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের রুখে দিতে হবে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বিজয়ের পর অনেকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের রুখে দিতে হবে।
শনিবার ( ১০ আগস্ট) সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে দশম শ্রেণির ছাত্র নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভূঁইঘর এলাকার শহীদ আদিল (১৭) এর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে জনতার উদ্দেশে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ক্ষমতা দম্ভ ক্ষণস্থায়ী যার প্রমাণ সদ্য পতন হওয়া স্বৈরাচার সরকার। স্মরণে রাখতে হবে জনগণের সেবকের আসনে বসে জুলুম নির্যাতন করে অতীতেও কোনো রাজা বাদশা আজীবন টিকে থাকতে পারেনি। দেশে জুলুমতন্ত্র কায়েম করেও আওয়ামীদের শেষ রক্ষা হয়নি ছাত্র জনতার বিজয় হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু রয়েছে। দেশবাসীকে বুঝতে হবে বিজয়ের পর অনেক সুযোগ সন্ধানী দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা ডাকাতি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, জ্বালাও-পোড়াও করছে। তিনি তাদের প্রতিহত করার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
অধ্যাপক মুজিব বলেন, সারা দেশে ছোট ছোট বাচ্চাগুলো রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। তারা অনেক কষ্ট করছে। আগামী বাংলাদেশ শান্তির বাংলাদেশ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যেখানে কুরআনের আইন চালু ছিল সেখানেই প্রকৃত শান্তি-শৃঙ্খলা চালু ছিল। বাংলাদেশ বিগত দিনে যারা শাসন করেছেন তারা আল্লাহর আইন অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের প্রত্যেকটি মানুষ অধিকার বঞ্চিত হয়েছে।
পরবর্তীতে শহীদ আদিল (১৭) এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয় এবং পরিবার কে আশ্বস্ত করা হয় যে, যেকোনো বিপদাপদে পাশে থাকবেন এবং সার্বিক দেখভাল করবেন। শহীদ আদিল ছাত্রশিবিরের একজন কর্মী ছিলেন। সে তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
অন্য আরও একজন শহীদ ইয়াসিন আলীকে দেখতে রাজধানীর কদমতলীতে ছুটে যান অধ্যাপক মুজিবৃর রহমান। শহীদ ইয়াসিন একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
অধ্যাপক মুজিব আরও বলেন, দেশে যেকোনো নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার এবং কেউ যেন কোনো ভেদাভেদ পার্থক্য করে ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান করছি। আমরা এই মাটির সন্তান, আমরা সবাই শহীদ আদিল। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে এবং আদিলদের মতো অন্যায়ের সামনে দাঁড়াতে হবে। জনগণের মধ্যে বিভাজন না করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিস শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির আব্দুল জব্বার, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দীন আহমদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মুমিনুল হক, মহানগরীর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি জাকির হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বাকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আসাদুজ্জামান রাকিব, মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর সভাপতি হাফেজ আব্দুল মোমিনসহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি//এমএইচ