সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণস্থলে ছাত্রশিবিরের সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা
Share on:
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণস্থলে সহায়তা কার্যক্রম চালিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
রোববার ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমনটা জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের একটি কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় ঘটনাস্থলে সার্বিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে ছুটে যান ছাত্রশিবিরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে দ্রুত সেখানে পৌঁছে উদ্ধার, রক্তদান ও চিকিৎসা সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনা করেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ, চট্টগ্রাম জেলা উত্তর, চট্টগ্রাম জেলা পূর্ব শাখার নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনশক্তি। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এবং স্থানীয় জনশক্তি, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সাধারণ জনগণের সাথে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ভয়াবহ বিস্ফোরণে কন্টেইনার ডিপোটি ধ্বংসস্তপে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালে লাশের স্তুপ। আহতের সংখ্যা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় শুরু থেকে ছাত্রশিবিরের সর্বস্তরের জনশক্তি ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ও সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আমরা সার্বিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। নিহত, আহত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশেও সাধ্যমত থাকব, ইনশাআল্লাহ। নিঃসন্দেহে এটি মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা। আমি নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা দোয়া করছি যেনো পরিবার পরিজনেরা ধৈর্য ধারণ করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, এটি একটি বড় কন্টেইনার ডিপো। কিন্তু এখানে দুর্ঘটনা ঘটলে তা প্রতিরোধের জন্য যেসকল সরঞ্জাম থাকা দরকার তা ছিল না। যার ফলে, হতাহত ও ক্ষতির পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনা থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে। সরকারকে একটি সঠিক তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার মূল কারণ উদঘাটন করে পরবর্তিতে যেনো এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বড় বড় কল কারাখানা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে এ ঘটনার সাথে কোনো অবহেলা, দায়িত্বহীনতা আছে কিনা সেটিরও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি সমাজের বিত্তবানসহ সকলকে এ মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ৪ জুন রাত ৯টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের একটি কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ মর্মান্তিক ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। পুলিশসহ আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক। যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কজনক। কন্টেইনারে ক্যামিক্যাল পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণের ভয়াবহতা তীব্র হয়েছে এবং হতাহতের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।
এমআই