tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ৩০ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:২৬ পিএম

যশোর সীমান্তে বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় জামায়াতের গভীর উদ্বেগ


Jamaat

গত ২১ জানুয়ারি ভোরে যশোর সীমান্তে বিজিবি সদস্য সিপাহী মুহাম্মাদ রইস উদ্দিন এবং ২৮ জানুয়ারি লালমনিরহাটের বাংলাদেশি যুবক রবিউল ইসলাম ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে অন্যায়ভাবে নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং জাতিসঙ্ঘের অধীনে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ।


মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ।

তিনি বলেন, ২১ জানুয়ারি ভোরে যশোর সীমান্তের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্টসংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইস উদ্দীনকে এবং ২৮ জানুয়ারি লালমনিরহাটের আঙ্গরপোতা গ্রামের ওপারে ভারতের কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ মহকুমার আমলাবাড়ি গ্রামে বাংলাদেশি যুবক রবিউল ইসলামকে ভারতীয় রক্ষীবাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়ই বিনা কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও হত্যাকাণ্ড ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী ২০২৩ সাল পর্যন্ত গত ৯ বছরে সীমান্তে বিএসএফের হাতে ২৪৫ জন বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা ঘটলেও একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচারকাজ সম্পন্ন হয়নি।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশিদের অন্যায় হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া খুবই উদ্বেগজনক। আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু ও দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির কারণেই ভারত বারবার বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ডে ঘটাচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগের ভারত তোষণ নীতিই দায়ি। দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কোনো অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার সৎ সাহস পায় না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই প্রতিবেশীদের কাছে বন্ধুসুলভ আচরণ কামনা করে। আমরা আশা করব ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনাকাক্সিক্ষত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে এবং বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সদস্য মুহাম্মাদ রইস উদ্দিন ও বাংলাদেশি যুবক রবিউল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। সেই সাথে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি সদস্যসহ সকল বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার জাতিসঙ্ঘের অধীনে আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বি বৃ তি