কাল থেকে চালু হতে পারে আন্তঃজেলা বাস
Share on:
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে চলমান সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) আন্তঃজেলার কয়েকটি রুটে বিশেষ নিরাপত্তায় বিচ্ছিন্নভাবে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করেছে। রাজধানীতেও কিছু বাস চলতে দেখা গেছে।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, বুধবার থেকে মহাখালী, সায়েদাবাদ ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে বাস ছেড়ে যেতে পারে। রাজধানীতেও বাড়তে পারে নগর পরিবহন।
মালিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ঢাকা, কক্সবাজার ও নোয়াখালী রুটে বেশকিছু বাস চলাচল করেছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে আটকাপড়া পর্যটকদের নিয়ে বিশেষ নিরাপত্তায় ঢাকায় এসেছে বিভিন্ন কোম্পানির ৭৩টি বাস। একই স্থান থেকে সোমবারও এসেছে ৬০টি বাস। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ এই রুটের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় পণ্যবাহী বেশকিছু পরিবহন রাজধানীতে প্রবেশ করেছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সামদানী খন্দকার বলেন, মঙ্গলবার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন রুটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় অল্পসংখ্যক বাস চলাচল করেছে। তবে ঢাকায় কোনো যানবাহন চলেনি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, গত দুদিনে বিভিন্ন কোম্পানির ১৩০টি বাসে কক্সবাজারে আটকেপড়া পর্যটকদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মহাখালী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, মঙ্গলবার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। বুধবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
তিনি বলেন, দিনের একটা বড় সময়ে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। তাই যাত্রীদের জড়ো হতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমরা আশা করছি, বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলায় বাস ছাড়বে। ঢাকায়ও গণপরিবহন বাড়বে।
এদিকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ট্রেন চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে চট্টগ্রাম থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রেন কমলাপুরে এসেছে। ইতোমধ্যে পণ্যও খালাস হয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শাহাদাত হোসেন বলেন, ট্রেন চালুর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করা ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা সচল না হলে ট্রেন চালু সম্ভব নয়।
অন্যদিকে সদরঘাট নদীবন্দর থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। পরিস্থিতি শান্ত হলে লঞ্চ চলাচল শুরুর কথা জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক ও শ্রমিক নেতারা।
এনএইচ